বেল্লাল হোসেন বাবু, ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধিঃ
নাটোরের সিংড়ায় ডাহিয়া ইউনিয়ন বিলপাকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে খেলার মাঠ দখল করে বসত-বাড়ী দোকান-পাট ও শবজির আবাদ।
একসময়ে শিক্ষার্থীদের প্রাণচাঞ্চল্যে দিনভর মুখর থাকতো এই স্কুলের মাঠটি। এখন সেই স্কুলের খেলার মাঠটি দখল করে কিছু ভুমিদ্যুস্যরা দখল করে ঘর -বাড়ি দোকান-পাট ও শবজি আবাদ করেছেন। ঘটনাটি ঘটেছে নাটোরের সিংড়া উপজেলার ২ নং ডাহিয়া ইউনিয়নের বিলপাকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
বিদ্যালয়টির বর্তমান চিত্র দেখে ক্ষোভে ফুঁসে উঠেছে গ্রামবাসী-কোমলমতি শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। জোরপূর্বক শিক্ষার্থীদের খেলাধুলা বন্ধ করে এমন কাজ করায় ম্যানেজিং কমিটি, সভাপতি ও স্থানীয়রা বিচারের দাবি করেছেন।
বিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, স্কুলটির
নামে ১০ শতাংশ জমি সরকারি দলিলকৃত সম্পত্তি। স্কুলের সামনে যে জায়গা আছে তাহা ২ নং খাস সম্পত্তি,এর আগে এই জায়গা গুলোতে বাড়ি ঘর তুলা হয়েছিল বটে তাহা উচ্ছেদ করা হয়েছে,কিন্ত এখন আবার তাহা বে দখলে চলে গিয়েছে।
এর আগে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকেও কর্মকর্তারা পরিদর্শন করেছেন। ভয়াবহ করোনার কারণে সরকারি নিদের্শনায় দীর্ঘদিন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় এই সুযোগটিই কাজে লাগিয়ে প্রতিষ্ঠানটির ম্যানেজিং কমিটির
সদস্যদের ও এলাকাবাসীর নিশেধ কে অমান্য করে জোরপূর্বক ভাবে দখল করা হয়েছে।
ওই স্কুলের কয়েকজন শিক্ষার্থী জানান, আগে স্কুলমাঠে ফুটবলসহ বিভিন্ন ধরনের খেলাধুলা সুন্দর ভাবে করতো স্কুলের ছাত্ররা, গ্রামবাসী ও এলাকাবাসী ।
এখন সেই খেলার মতো কোন পরিস্থিতি নাই।আমরা আমাদের মাঠ আবার আগের মতো ফিরে পেতে চাই।
বিলপাকুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকা তৃপ্তি রাণী প্রামাণিক বলেন,
স্কুলটির জমি সরকারি দলিলকৃত
১০ শতাংশ সম্পত্তি। প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার মান ভালো ছিল। বিদ্যালয়ের মাঠে শবজি চাষ ম্যানেজিং কমিটির নিশেধ কে অমান্য করেছেন এই কাজটি উচিৎ করে নাই।
স্থানীয়রা জানায়,
আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপি মহোদয় এর নিকট আমাদের বিশেষ দাবি আমাদের এই স্কুল মাঠের দোকানপাট, বসতবাড়ি, ও শবজি চাষ উচ্ছেদ করে আগের মতো খেলাধুলার বেবস্থা করে দেওয়ার।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এম.এম. সামিরুল ইসলাম বলেন, বিষয় টি আমার জানা ছিলোনা, দ্রুত খোঁজ খবর নিচ্ছি।