শরিফা বেগম শিউলী, রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
আজ ১৪/১০/২১ ইং বৃহস্পতিবার শ্রী শ্রী জয় হনুমান মন্দিরে মহানবমী পূজা অনুষ্ঠিত হয়।
শ্রী শ্রী জয় হনুমান মন্দির ১৮০০ সালে তৎকালীন রাজা অন্নদা প্রসাদ রায় ও জগদা প্রসাদ রায় হনুমান তলা ভক্তবৃন্দদের জন্য শ্রী শ্রী জয় হনুমান মন্দির প্রতিষ্ঠিত করেন এবং তিনি ও শ্রী শ্রী জয় বাবা হনুমানের ভক্ত ছিলেন।তখন থেকেই ভক্ত বৃন্দরা পূজা অর্চণা করে আসছে।শারদ কালীন সময়ে দুর্গা পূজার নবমী তিথিতে মহা নবমী পূজা এবং চৈত্র মাসের পূর্ণিমায় জয় শ্রী শ্রী হনুমান মন্দিরে জন্ম জয়জয়ন্তী উৎসব পালন করা হয়।এসকল পূজা অর্চনার সময় সময় রংপুর শহর এমনকি শহরের বাইরে থেকেও ভক্তি নিবেদন করতে আসেন ও প্রসাদ গ্রহন করেন।
মহনবমীতে পূজা অর্চনা শেষে ভক্ত মন্ডলি অন্জলি প্রদান করেন।অন্জলী শেষে ভক্তদের মাঝে প্রসাদ বিতরন করা হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, অলোক নাথ, মন্দিরের সাধারণ সম্পাদক রনজিৎ রায়, মনা,নিরন্জন রায়,উৎপল কিশোর বনিক,
রাজাদের কথা বলতে গেলে তাজহাট জমিদার রাজা ও কাউনিয়ার রাজা বেনী মাধব এদের কথা না বলেলেই নয়।
অন্নদা প্রসাদ রায় ও জগদা প্রসাদ রায় শুধু শ্রী শ্রী জয় হনুমান মন্দির প্রতিষ্ঠ করেন নি সরকারী রংপুর কলেজ,কলেজে ভিতর শ্রী শ্রী লক্ষী নারায়ন জিউ জনার্দন দেবোত্তর এষ্টেট বিদ্যমান এমনকি জাদু মিয়ার বাসভবন তাদের জমির অংশ।মোট জমির পরিমান ৪ একর ৭০ শতাংশ।
কাউনিয়ার রাজা বেনী মাধব দাতা রাজা হিসাবে পরিচিত। তিনিও স্বাধীনতা যুদ্ধের আগে রংপুর শহরের প্রানকেন্দে শী শী করুনাময়ী কালীবাড়ি মন্দির সংলগ্ন লক্ষী নারায়ন জিউ মন্দির যাহার সেবায়েত ছিলেন,ব।ব্রজলাল ঝাঁ সেই মন্দিরে দুই মন অষ্টধাতুর শ্রী শ্রী রাজ- রাজেশ্বরী মাতাকে প্রতিষ্ঠিত করেন।সেই বিগ্রহের নামে ৯০০ বিঘা জমি নিঃশর্ত ভাবে দান করেন যাবতীয় খরচ মন্দিরের জমির আয় থেকে শ্রী শ্রী রাজ- রাজেশ্বরী মাতার জন্য খরচ করা হবে।
যা এখন শ্রী শ্রী রাজ- রাজেশ্বরী দেবোত্তর এস্টেট নামে পরিচিত এবং একটি কমিটও বিদ্যমান।পদাতিকার বলে এই মন্দির কমিটির সভাপতি জেলা প্রশাসক।শারদীয় উৎসব,বাসন্তি মাতার পুজা সহ নিত্য পূজা করা হয়।