জাবেদুল ইসলামঃ
আমার এক প্রিয় বন্ধু আছে
তিস্তা পাড়ে তার বাড়ী,
বিশাল ফলের বাগান তার
সবুজ গাছের সারি।
কাজের ফাঁকে ছুটি পেলে
যেতাম বন্ধুর বাড়ী
বন্ধু আর বান্ধবী হঠাৎ দেখে
আনন্দে হত কুটি কুটি।
গাছের ছায়া বসতে দিত
শীতল পাটি পেতে।
দূই বন্ধু গাছের ছায়ায়
মুক্ত বাতাস পেয়ে,
দূ’ জন মিলে বিশাল একটা,
গল্প দিলাম মেতে।
এমন সময় বান্ধবী আমার,
নাস্তার ট্রে দিল এনে,
খেলাম মোরা দূ বন্ধু,
অনেক মজা করে।
একটু পরে বন্ধু আমার,
ডেকে নিয়ে যায় ক্ষেতে,
এপাশ ওপাশ দেখিয়ে বলে এগুলো আমার সবে।
তিস্তার পারে বসে দূ জন,
জিরিয়ে নেই শেষে,
মুক্ত শিতল বাতাসে শরীর
শির শিরিয়ে ওঠে,
মুক্ত আকাশে চেয়ে দেখি,
এক ঝাঁক পাখি উড়ছে,
অজানা কোন দেশে।
দূই বন্ধু বাড়ী ফিরে এলাম শেষে।
দুপুরের লাঞ্চ শেষে, বিদায় নিভ যখন,বন্ধু আর বান্ধবী আমায় এগিয়ে দিতে আসে।
আমার প্রিয়ো বন্ধু ছিল অনেক ভালো সুখে।
স্ত্রী আর সন্তান নিয়ে সব দুঃখ ভুলে।
হঠাৎ একদিন তিস্তা নদী,
গ্রাস করে নিল,
বন্ধু র সব ভিটে বাড়ি, ও ফসলের জমী ভেঙে করে দিল চুরমার।
জীবনের যা সম্বল ছিল,
সব ভেসে নিল তিস্তা,
সেখানে আর কিছু নেই তো,
ধূ ধূ বালু চর,
বন্ধু এখন ব্যাবসা করে
মহাজনের সাথে।
নিজের পুজি নেই তবুও
এতে যা হয়,
এ ভাবে কষ্টে বন্ধুর জীবন,
যেতে থাকে, শেষে
কিছু কাল পরে,
তিস্তা নদী দূরে সরে যায় চলে,
বন্ধু আবার ভিটে মাটি
সবে ফিরে পায়,
দুঃখ কষ্টে কেটেছে বন্ধু,
তিস্তা কে ভুলে নাই,
তিস্তার পাড়ে, জন্ম বন্ধুর,
তিস্তার পাড়ে বাড়ী,
তিস্তার স্মৃতি জীবন মরন,
দিয়েছে বন্ধু আরি।