স্টাফ রিপোর্টারঃ
ব্রহ্মপূত্র নদ ও তিস্তা নদীর বিস্তৃর্ণ চর জুড়ে এখন বাদামের সবুজ ক্ষেত ঘিরে স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা। যেদিকে চোখ যায়, শুধু সবুজ আর সবুজে ভরা বাদাম ক্ষেত। নদীর বুকে জেগে উঠা চরগুলো যেন সেজেছে নতুন সাজে।
সবুজে ভরা বাদামের ক্ষেত এখন কৃষকের মুখে হাসি ফোটাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় চলতি মৌসুমে বাদামের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
কুড়িগ্রামের উলিপুর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, তিস্তা নদী বেষ্টিত বজরা, গুনাইগাছ, থেতরাই, দলদলিয়া ও ব্রহ্মপুত্র নদ বেষ্টিত হাতিয়া, বুড়াবুড়ি, বেগমগঞ্জ, সাহেবের আলগা ইউনিয়নে পরিত্যক্ত উঁচু ও বালুযুক্ত চরের ২১’শ ৩৮ বিঘা জমি চাষাবাদ করে ৪’শ ২৭ মেট্রিক টন বাদাম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। কৃষকদের নিবিড় পরিচর্যায় বাদাম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে।
ব্রহ্মপুত্র নদ ও তিস্তা নদীর চরে গিয়ে দেখা যায়, চরগুলো যেন নতুন করে সেজেছে। শুধু মাঠের পর মাঠ বাদামের সবুজ ক্ষেত। জেগে উঠা চরের বালুতেই জেগে উঠা সবুজ বাদাম ক্ষেতকে ঘিরেই স্বপ্ন দেখছেন কৃষকরা।
এসময় কথা হয়, উপজেলার থেতরাই ইউনিয়নের দড়িকিশোরপুর গ্রামের কৃষক আকতারুজ্জামানের সাথে। তিনি জানান, প্রায় ৩৫ হাজার টাকা খরচ করে তিস্তা নদীতে জেগে উঠা চরে আড়াই বিঘা জমিতে বাদাম চাষ করেছেন। আর ২৫/৩০ দিনের মধ্যে বাদাম ঘরে তুলতে পারবেন। তিনি আরো জানান, বাদাম ক্ষেত দেখে মনে হচ্ছে লাভবান হবে। বাজারে প্রতিমণ বাদাম বিক্রি হয় ৪ থেকে সাড়ে ৪ হাজার টাকা।
এসময় বাদাম চাষের সাথে জড়িত বজরা ইউনিয়নের মোনায়েম হোসেন, গুনাইগাছ ইউনিয়নের সুকদেবকুন্ডের কাজিম উদ্দিন সহ অনেক কৃষক বলেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বারি-৮ ও ঢাকা-১ জাতের বাদামে রোগ-বালাই কম, তাই ফলনও ভাল হবে। বিঘা প্রতি ৫ মণ বাদাম উৎপাদন হলে কৃষকরা সবাই লাভবান হবেন। এছাড়া চলতি বছর চর গুলোতে সূর্য্যমূখি, সরিষা, তিল, মিষ্টি কুমড়াসহ বিভিন্ন তৈল জাতীয় শষ্য চাষাবাদ করে কৃষকরা লাভবান হয়েছেন।
উপজেলা কৃষি অফিসার সাইফুল ইসলাম জানান, নদ-নদীর চরাঞ্চল গুলোতে বাদাম চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাদামের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা রয়েছে।
Leave a Reply