শরিফা বেগম শিউলী, রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
রংপুর নগরীর ৩১নং ওয়ার্ড শেখপাড়া পানবাড়ি ঘাঘট নদীর ব্রিজ সংলগ্ন প্রায় দেড় কিলোমিটার সড়ক গেলো বছর নতুনভাবে পাকাকরণ করা হলেও তা বর্তমানে খাল খন্দে আর দুই পাড় ভেঙ্গে চলাচলের জন্য অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।
সড়কটির বেহাল দশার ফলে ৪টি গ্রামের মানুষকে শহরমুখী হতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।আর এই কৃষিপ্রধান এলাকার মানুষদের প্রতিনিয়তই কৃষি পণ্য বিক্রয়ের জন্য কিংবা উন্নত কীটনাশক ক্রয়ের জন্য লালবাগ অথবা পৌরবাজারে যেতে হয়।বর্তমানে তারা এই ভোগান্তি থেকে রক্ষার জন্য প্রায় চার কিলোমিটার অতিরিক্ত রাস্তা ঘুরে বাজারে যাতায়াত করছেন।
পথচারীরা জানায় বর্তমানে রাস্তাটির এমন দশা হওয়ার প্রধান কারণ প্রতিনিয়ত রাতের আধারে নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করা হয় এবং সে বালুগুলো ওভারলোড করার মাধ্যমে এই ছোট সড়কটি দিয়েই বিভিন্ন এলাকায় যায়।এই সড়কটিতে প্রতি নিয়তই যাতায়াতের সময় নানা দুর্ঘটনা দেখা দেয়,প্রায় সময় পণ্যবাহী ভ্যান কিংবা অটোরিকশা উল্টে যায়।কিন্তু স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর কিংবা মেয়র সড়কটি সংস্কারের জন্য কোনো পদক্ষেপ না নেয়ায় এলাকাবাসী এবং পথচারীরা ক্ষুব্ধ।
এ সময় পানবাড়ি নতুন বাজার এর ব্যবসায়ী সামীম মিয়া পৌর বাজার থেকে তার দোকানের জন্য ক্রয়কৃত পন্য মালবাহী ভ্যানে করে দোকানে ফেরার সময় একুশে সংবাদকে জানান,গত ৩দিন আগে আমি ১৪হাজার টাকার মাল করি বাড়ি যাওয়ার সমায় ভ্যান উল্টি গেচলো।পরে আমার একপালা মালামালের ক্ষতি হয়,কিত্ত হামার তো উপায় নাই তাও হামাক এই রাস্তা দিয়া যাতায়াত করা নাগে।যদি কাউন্সিলার রাস্তাটা ভালো করি দেলো হয়,তা হইলে হামার আর ক্ষয়ক্ষতি হইলো না হয়,চলাচল করতে সুবিধা হতো।
তবে ৩১নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুল হক’র কাছে এ ব্যাপার জানতে চাইলে তিনি যানায়, বিগত দিনে আমার আবেদনে মাননীয় মেয়র মহোদয় এর মাধ্যমে এই রাস্তাটি পাকাকরণ করা হয়েছিল।কিন্তু একদিকে খাল ভরাট করে রাস্তাটি করা হয়েছিল আর এই রাস্তাদিয়ে অতিরিক্ত পণ্য পরিবহন কারি জান চলাচল কড়াই অল্পদিনের মধ্যে রাস্তাটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে যায়। তবে আমি জনগণের স্বার্থে আবারো মেয়র মহোদয়ের কাছে আবেদন করেছি,সবকিছু ঠিক থাকলে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে ইনশাল্লাহ রিপেয়ারিং এর কাজ শুরু হবে।
Leave a Reply