# আমার_ব্যাপারে_আনাস_মাদানীর_ফোনালাপ_নির্জলা_মিথ্যাচার: -আল্লামা বাবুনগরী
মাওলানা আনাস মাদানী কর্তৃক একটি ফোনালাপে আমার বিরুদ্ধে “জামায়াত সংশ্লিষ্টতা ও ২০১৩ সালের ৫ ই মে শাপলা চত্বরে আমি মানুষকে নিয়ে মার খাইয়েছি” বলে যে কথা বলেছে, তা সম্পূর্ণ নির্জলা মিথ্যাচার ছাড়া আর কিছুই নয়।
জামায়াতের সাথে আমার বিন্দুমাত্রও সম্পর্ক নেই। অতীত-বর্তমানে কোন সময়ই জামাতের সাথে আমার সম্পর্ক ছিল না; বরং পুরো জীবন আমার লেখালেখিতে ও লক্ষ লক্ষ মানুষের বিশাল সমাবেশে বয়ান-বক্তৃতার মধ্যে জামায়াতের ভ্রান্ত আকিদা সম্পর্কে আমি দেশবাসীকে সচেতন করে আসছি।
জামায়াত সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আমার সম্পর্কে সে যা বলেছে, সেটা তার পরিকল্পিত মিথ্যাচার। তার এহেন মিথ্যাচার আমাকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করার ধারাবাহিক ষড়যন্ত্রেরই অংশ বলে আমি মনে করি । এগুলো আমার মানহানি করার অপচেষ্টা।
কিছুদিন থেকে আমি লক্ষ্য করছি যে, তারা উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে একটি কুচক্রীমহলের ইন্ধনে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা এবং সাজানো কথা রটিয়ে,
উস্কানিমূলকভাবে সরকার এবং প্রশাসনকে বিভ্রান্ত করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করার চক্রান্ত করে যাচ্ছে। এসবের নিন্দা ও ধিক্কার জানানোর ভাষা আমার নেই।
মাওলানা আনাস মাদানী ফোনালাপে ২০১৩ সালে শাপলা চত্বরের মর্মান্তিক ঘটনার সম্পূর্ণ দায়ভার আমার ওপর চাপিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করেছে। সে শাপলা চত্বরের মর্মান্তিক ঘটনা নিয়ে আমাকে জড়িয়ে এমন ডাহা মিথ্যে কথা বলতে পারবে, তা আমি আশা করিনি। অথচ জেলে গেলাম আমি, রক্ত দিলাম আমি। রিমান্ডে অমানুষিক নির্যাতন ভোগ করলাম আমি। সেই রাতে হেফাজতের সমাবেশে কী হয়েছিল তা জাতি জানে, কিন্তু মামলার আসামী হলাম আমি।
সে রাতে হেফাজতের সমাবেশে কি হয়েছিল তা জাতী জানে। কিন্তু মামলার আসামি হয়েছিলাম আমি।
আমীরে হেফাজতের আনুগত্য করে, লক্ষ লক্ষ নবীপ্রেমিক জনতাকে বিপদের মুখে ঠেলে না দিয়ে আমার জীবনের মায়া ত্যাগ করে ঝুঁকি নিয়ে শাপলার মঞ্চে অটল থাকাই কি আমার অপরাধ?
আমি আমীরে হেফাজতের নির্দেশ মতে লালবাগ থেকে শাপলা চত্বরে গিয়েছি এবং আমীরে হেফাজতের পরবর্তী নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত শাপলা চত্বরে অবস্থান করেছি।
বার বার মিডিয়াকে বলা হয়েছে যে, সেদিন যা হয়েছে আমীরে হেফাজতের নির্দেশেই হয়েছে। সুতরাং এতদিন পর আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে চাপানোর নামান্তর।
সচেতন মহল ভালো করেই জানেন যে,
শাপলা চত্বরে আমি মানুষকে মার খাওয়াইনি; বরং সেই রাতে মুহুর্মুহু গুলিবৃষ্টির মধ্যেও আমি নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে লক্ষ লক্ষ মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছি।
আর ২০১৩ সালে কারা জামায়াতসহ বিরোধী রাজনৈতিক দল থেকে সুবিধা ভোগ করেছে আর আজ সরকারের সাথে আঁতাত করে কওমিদের নীতি-আদর্শ বিসর্জন দিয়ে হেফাজতকে ধ্বংস করার চক্রান্ত করছে, তা জাতি ভালো করেই জানেন। সময় মতো তাদের মুখোশ উন্মোচিত হবে, ইনশাআল্লাহ।
যারা আমার বিরুদ্ধে এসব নির্জলা মিথ্যাচার করে আমাকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করতেছে ও ষড়যন্ত্র করে হেফাজতকে ধ্বংস করার পাঁয়তারা করতেছে, তাদের বিচার আমি আল্লাহ তা’আলার দরবারে দিলাম।
আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরী সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন
আনাস মাদানির ফোনালাপ নিচেরটা
Leave a Reply