মোঃ ইমরান হুসাইন, স্টাফ রিপোর্টারঃ
কেশবপুর উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের আম গাছগুলোতে মুকুল আসার পর আমের কিছু গাছে গুটি ধরতে শুরু করেছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে ও বড় কোন প্রাকৃতিক দূর্যোগ না হলে এবং সময় মতো গাছ পরিচর্যা করা হলে বছরের চলতি মৌসুমে আমের ভাল ফলন হবে।
আর এ কারণেই আশায় বুক বেধে আমচাষীরা চালিয়ে যাচ্ছেন গাছের পরিচর্যা। অবশ্য গাছে মুকুল আসার আগে থেকেই বাগান পরিচর্যা করছেন চাষীরা। উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, কৃষকদের বাণিজ্যিকভাবে আম চাষে তেমন আগ্রহ না থাকলেও উপজেলার ১১ টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় বারি আম, আমরুপালি, ফজলি, খিড়সা, ল্যাংড়া, রাজভোগ ও গোপালভোগসহ বিভিন্ন উন্নত জাতের আম বাণিজ্যিকভাবে চাষ হচ্ছে। অধিক লাভজনক হওয়ায় প্রতি বছর বাগানের সংখ্যা বাড়ছে। বাণিজ্যিকভাবে ব্যাপক আম চাষ না হলেও পরিত্যাক্ত জমি এবং বাড়ির আশেপাশের জায়গা গুলোতে অনেক গাছ রয়েছে। এবিষয়ে
বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আম চাষী পচা গাজী এ প্রতিবেদককে জানান, উপজেলা কৃষি অফিসের পরামর্শে গাছে মুকুল আসার ১৫-২০ দিন আগেই পুরো গাছ সাইপারম্যাক্সিন ও কার্বারিল গ্রুপের কীটনাশক দিয়ে ভালভাবে স্প্রে করে গাছ ধুয়ে দিয়েছিলাম। এখন গাছে আমের গুটি ধরেছে আশা করছি এবারও ফলন ভালো হবে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার মহাদেব চন্দ্র সানা জানান, কৃষকদের বাণিজ্যিকভাবে আম চাষে তেমন আগ্রহ না থাকলেও এবছরে কৃষকরা আমের চাষ করেছে বেশি। আম গাছে মুকুল আসার আগে এবং আমের গুটি হবার পর নিয়মিত ছত্রাকনাশক স্প্রে করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
Leave a Reply