শরিফা বেগম শিউলী, স্টাফ রিপোর্টারঃ
লালমনিরহাটের কালীগঞ্জে জান্নাতি বেগম (২২ ) নামে এক গৃহবধূ তার শ্বশুড় বাড়ির লোকজনের হাতে নির্মম নির্যাতনের স্বীকার হয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আহত গৃহবধূ জান্নাতি বেগম দঃ দলগ্রাম এলাকার হযরত আলী রিপনের স্ত্রী।
মঙ্গলবার (৮জুন) বেলা ২ টার দিকে ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার দলগ্রাম ইউনিয়নের দঃ দলগ্রাম মাষ্টার পাড়া এলাকায়।
এঘটনায় ওই গৃহবধূ বাদী হয়ে বুধবার (৯ জুন) ৬ জনকে আসামী করে কালীগঞ্জ থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন।
এজাহার সুত্রে জানা যায়, জান্নাতি বেগমের স্বামী বাহিরে থাকার সুযোগে শশুড়,শাশুড়ী ও ননদ পারিবারিক বিষয়কে কেন্দ্র করিয়া গত মঙ্গলবার ৮ জুন দুপুর দুইটার দিকে শশুড় নুরইসলামের হুকুমে আব্দুল হাকিম গৃহবধূর উপর অতর্কিতভাবে আক্রমণ করে মাথার চুল ধরে মাটিতে ফেলাইয়া হত্যার উদ্দেশ্যে গলা চিপিয়া ধরে এবং ননদ নুরুন্নাহার ঘর হইতে ধারালো ছুরি বাহির করে শেষ করে দিতে বলে। এমতাবস্থায় মীম ও হোসনেয়ারা ঘরের ভিতর থেকে রশি বাহির করে গৃহবধূর হাত পা বাধার জন্য আঃ হাকিম ও নুরুন্নাহার কে হুকুম করে। এসময় হোসনেয়ারাসহ সকলে গৃহবধূর শরীরে এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারিতে থাকে এবং গলায় থাকা স্বর্ণের চেন,হাতের চুড়ি ও কানে থাকে স্বর্ণের ঝুমকা খুলিয়া নেয় যাহার মুল্য এক লক্ষ টাকা। এসময় গৃহবধূর চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে এলে শশুড়,শাশুড়ী ও ননদ জান্নাতিকে ছেড়ে দেন এবং বলেন লোকজনের জন্য এবারের মত বেঁচে গেলি।
এমন চিৎকার শুনে প্রতিবেশী সাইফুর রহমান স্কাই নামে এক ব্যক্তি ওই গৃহবধূর বড়ভাই জহুরুলকে ফোন দিয়ে ঘটনার বিষয়টি জানালে তার বড় ভাই স্থানীয় দু’একজনকে নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে এসে জখমী অবস্থায় তার ছোট বোনকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। যাহার ভর্তি রেজিঃ নং -৬৪৩৬/৩১,বেড নং-২২।
এবিষয়ে গৃহবধূ জান্নাতি বেগম সাংবাদিকদের বলেন, “আমার স্বামী বাহিরে থাকার সুযোগে শশুড়বাড়ীর লোকজন খুব নির্মম ভাবে আমাকে নির্যাতন করেছে”। “আমি এর বিচার চাই”।
এ বিষয় নির্যাতনের স্বীকার গৃহবধুর বড় ভাই জহুরুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় তাকে ও বিভিন্ন প্রকার হুমকি দিচ্ছেন তার শশুড় বাড়ীর লোকজন।
কালীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরজু মোঃ সাজ্জাদ হোসেন এজাহার পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, নারী নির্যাতনের ঘটনাটি তদন্ত করে দ্রুত আসামীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
Leave a Reply