1. nahidbd6969@gmail.com : kurigrampratidin :
  2. 123@kurigrampratidin.com : itsme :
কালীগঞ্জে মাল্টা চাষে স্বপ্ন বুনছেন নুরুল হক - কুড়িগ্রাম প্রতিদিন
বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১২:২৬ অপরাহ্ন

কালীগঞ্জে মাল্টা চাষে স্বপ্ন বুনছেন নুরুল হক

  • Update Time : বুধবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২১
  • ৯১ Time View

শরিফা বেগম শিউলী, রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

কালীগঞ্জে মাল্টা চাষে স্বপ্ন বুনছেন নুরুল হক।
বাগানের সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে ঝুলছে সবুজ রঙের কাঁচা মাল্টা। ছোট-বড় মিলে পুরো বাগানেই মাল্টার ছড়াছড়ি।লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার কাকিনা ইউনিয়নের কাজীরহাট বানীনগর এলাকার চাষী নুরুল হকের বাগানের মাল্টার রঙ এখন সবুজ। এরইমধ্যে বাগানের সবগুলো গাছেই মাল্টার ভালো ফলন হয়েছে।

 

নুরুল হক তার চেষ্টায় প্রতিনিয়ত সফলতার পথে এগিয়ে যাচ্ছেন। মাল্টা চাষী নুরল হক জানায়, ১৯৯৪ সালে বাড়ির সামনে সামান্য জমিতে নার্সারী দিয়ে কর্ম জীবন শুরু করি। নার্সারীতে ফল ও ফুলসহ বিভিন্ন জাতের গাছের চারা উৎপাদন করতে থাকি। আস্তে আস্তে গোটা উপজেলায় ছড়িয়ে যায় আমার নার্সারীর পরিচিতি। আমার নার্সারী থেকে চারা নিয়ে গিয়ে অনেকেই বাগান গড়ে তুলেন। কিন্তু আমার ভাগ্যের পরির্বতন ঘটে না।

 

২০১২ সালে রাজধানী ঢাকায় গিয়ে দেখতে পাই মানুষ থাই পেয়ারা ২০০ টাকা কেজি দরে কিনছে। এ দৃশ্য দেখে আমার থাই পেয়ারার বাগান করার ইচ্ছা জাগে। সেই ইচ্ছা বাস্তবে রুপ দিতে চলে যাই কানসাটের থাই পেয়ারা বাগানে। সেখান থেকে বীজ সংগ্রহ করে নিজের নার্সারীতে চারা তৈরী করি। নিজের নার্সারীর চারা দিয়ে পরীক্ষা মুলক থাই পেয়ারার চাষ করে সাফল্য পাওয়ায় স্থানীয় ধান চাষিদের জমি বছরে বিঘা প্রতি ১২ মণ ধানের বিনিময়ে লিজ নিয়ে থাই পেয়ারার বাগান তৈরী করি। ভাগ্যের কী পরিহাস ২০১৫ সালে বাণিজ্যিক ভাবে থাই ৩ পেয়ারার চাষ শুরু করলেও প্রকৃতিক দুর্যোগে সম্পন্ন বাগান নষ্ট হয়ে যায়। সে সময় প্রায় ৪০ লাখ টাকার লোকসান গুনতে হয়।

 

কিন্তু তিনি থেমে থাকেনি ২০১৭ সালে আবারও লিজকৃত ১১ একর জমিতে মাল্টা ও কমলার ৩ হাজার ৫ শত চারা লাগান। এক বছরে গাছে ভালো ফলনের দেখা মেলে। প্রতি গাছে ৫০-৬০টি করে মাল্টা ধরেছে। আশা করা যায় আগামী আশ্বিন মাসের শুরুতেই মাল্টাগুলো পাকতে শুরু করবে। নুরুল হকের বাগানে দৈনিক ২৫০/৩২০ টাকা মজুরীতে ১৫ জন শ্রমিক নিয়মিত কাজ করছেন। চাষ পদ্ধতি সম্পর্কে নুরল হক বলেন, তুলনা মুলক একটু উচু জমিতে সারিবদ্ধ ভাবে গর্ত খুড়ে প্রয়োজনীয় সার দিয়ে প্রতিটি গর্তে একটি করে কলম চারা লাগাতে হয়। এরপর শুধুই পরিচর্যা।

নুরুল হকের বাগানের শ্রমিক রাধা রানী, ননিবালা, জোহরা বেগম, জোবেদা বেগম জানান, সারা বছর কাজের নিশ্চয়তা থাকায় কয়েক বছর ধরে নুরল হকের এসব বাগানে কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করছেন তারা।

কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোঃ রবিউল হাসান বলেন, নুরুল হক এতো সুন্দর মাল্টা বাগান করে উপজেলাবাসীকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে। আমি শুনেছি তার বাগানে কোন প্রকার ক্ষতিকর কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় না। এমন সুন্দর বাগান এ অঞ্চলে মাল্টা উৎপাদনে অনেককেই উৎসাহিত করবে বলেও তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

লালমনিরহাট কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক শামীম আশরাফ জানান, অল্প পুঁজিতে অধিক লাভজনক হওয়ায় মাল্টা চাষে ঝুকছে কৃষকেরা। মাল্টা চাষিদের উদ্বুদ্ধ করার পাশাপাশি সব ধরনের সহযোগীতাও করা হচ্ছে। সেই সাথে আধুনিক কৌশল প্রয়োগের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

প্রকাশনা

সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি : মোঃ এনামুল হক

উপদেষ্টা সম্পাদক: মোঃ মোজাহার হোসেন

প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ নাহিদুল ইসলাম

বার্তা সম্পাদক: সি. আই মামুন

নির্বাহী সম্পাদক:

ব্যবস্থাপনা সম্পাদক:

© All rights reserved © 2024 কুড়িগ্রাম প্রতিদিন
Theme Customized By BreakingNews