আবুল হোসেন বাবুল, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামে মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ভুমিহীন ও গৃহহীনদের পুনর্বাসন প্রকল্পের আওতায় সদরের পাঁচগাছী ইউনিয়নের আরাজী ভোগডাঙ্গায় আশ্রয়ন-২ এর ৮৯টি পরিবার পেয়েছে সুখের ঠিকানা। এক ভিডিও কনফারেন্সে গত ২০ জুন ২০২১ইং ৮.২৬ একর সরকারী খাস জমিতে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায় ভুমিহীন ও গৃহহীনদের মাথা গুজার ঠাঁই দিয়েছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা ও প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা। সরেজমিনে গিয়ে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পে ঠাঁই পাওয়া পরিবারগুলো জানায় আমাদের ঠাঁই ছিল না, আমরা ঠাঁই পেয়েছি, আশ্রয় ছিল না, আশ্রয় পেয়েছি। আমরা স্বপ্নেও ভাবিনী জীবনে কোনদিন পাকা ঘরে থাকতে পারব। তারা জানান বহিরাগত কিছু ব্যক্তি যাদেরকে আমরা চিনি না তারা প্রায় দিন এসে আমাদেরকে নানা প্রকার ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে। গত মঙ্গলবার বিকাল আনুমানিক ৫ টায় সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ মোস্তাফিজার রহমানসহ কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিলুফা ইয়াসমিন আশ্রয়ন প্রকল্প পরিদর্শনে যান। তিনি প্রকল্পের উপকারভোগীদের খোজ খবর নেন। এসময় শতাধিক উপকারভোগী নারী-পুরুষ স্বশরীরে উপস্থিত হয়ে জানান, বহিরাগত একটি চক্র আশ্রয়নের জমি, গাছপালা জবরদখলের চেষ্টা চালাচ্ছে। তারাই সরকারের ভাবমূর্তী ক্ষুন্ন করতে মিথ্যা অভিযোগ তুলছে। এসময় স্থানীয় বাচ্চু মিয়া সাংবাদিকদের জানান, আপনারা প্রতিটি ঘরে ঘরে ঢুকে দেখুন, ইনশাআল্লাহ ভুল ধরতে পারবেন না। উপজেলা পরিষদের সুযোগ্য চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু ভাই, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিলুফা ইয়াসমিন ম্যাডাম প্রায় দিনই চলমান কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেছেন। পাঁচগাছী ইউনিয়ন পরিষদের ১নং ওয়ার্ড মেম্বার আবু হোসেন জানান, উপকারভোগী নির্বাচনে বা যাচাই বাছাইয়ে কোন অনিয়ম স্বজনপ্রীতি হয়নি, উপকারভোগীরা সবাই খেটে খাওয়া মানুষ। কোন ধনী বা সম্পদশালী ব্যক্তি এখানে ঘর পায়নি। যারা পেয়েছে প্রকৃত অর্থেই গৃহহীন ও ভুমিহীন পরিবার।
আশিকের স্ত্রী খালেদা, ছমতুল্যার পুত্র আকবর, তেসেরের পুত্র বিল্লাল, হারুনের স্ত্রী মিনু, ছোলায়মানের স্ত্রী শেফালী, আবেদের স্ত্রী বানেছা, মিজানুরের স্ত্রী রনজিনা, হালিমা ও আনছার আলী বলেন প্রধান মন্ত্রীর উপহার জমি সহ পাকা ঘর পেয়ে আমরা খুশী। যিনি আমাদের এই ঘর দিয়েছেন তার জন্য দোয়া করি। উপকারভোগী মাজাহার আলী জানান, আমি জানতে পেরেছি- আমি নাকি চার লক্ষ টাকা দিয়ে এখানে ঘর নিয়েছি, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমি ঘরের জন্য কাউকে টাকা দেইনি। বানেছা জানান, ছবি তোলা, কার্ডের ফটোকপি ও দলিল খরচ মিলে দুই থেকে আড়াইশ টাকা খরচ হয়েছে। ৮.২৬ একর সরকারি খাস জমিতে ৮৯টি পরিবারের জন্য ২টি পুকুর রয়েছে।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিলুফা ইয়াসমিন জানান, এখন বাচ্চাদের জন্য একটি খেলার মাঠ, একটি কমিউনিটি সেন্টার ও একটি মসজিদ খুব তাড়াতাড়ি করে দেয়া হবে। এসময় তিনি উপকারভোগীদের উদ্দেশ্যে বলেন, আপনারা সবাই মিলেমিশে থাকবেন। যারা সরকারের ভাবমূর্তী ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ক্ষতি করতে চায় তাদেরকে প্রতিহত করবেন।
কুড়িগ্রাম সদরের পাঁচগাছীতে আশ্রয়ন-২ প্রকল্পের আওতায়।
ভুমি ও গৃহের পাশাপাশি পাচ্ছে খেলার মাঠ, মসজিদ ও কমিউনিটি সেন্টার।
Leave a Reply