ইমরান হুসাইন, স্টাফ রিপোর্টারঃ
তাপ ও রমজানের কারনে তরমুজের চাহিদা বেশী। মৌসুমের শুরু থেকেই তরমুজের দাম চড়া। তবে রমজান আর বৈশাখের খরতাপকে কেন্দ্র করে সবুজ তরমুজেও আগুন লেগেছে। যে আগুনে নিম্মমধ্যবিত্ত তো দূরের কথা, মধ্যবিত্তরাই পুড়ে ছারখার। অথচ দেশজুড়ে চলমান তীব্র তাপদাহে ইফতারের প্রধান উপকরণ হওয়ার কথা তরমুজ।পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ এই তরমুজ এখন বিভিন্ন শহরে কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। এই সুযোগে কৃষকেরা নয় তৃতীয় পক্ষ অর্থাৎ বিক্রেতাদের মুনাফা চরমে। চলতি সপ্তাহে খুচরা বাজারে এক কেজি তরমুজের দাম চলছে ৪০ টাকা কেজি।
বেশি ভালো মানেরগুলো ৫0 টাকাতে বিক্রি হচ্ছে। এতে ৬ কেজির একটি তরমুজের জন্য ক্রেতার গুণতে হচ্ছে ২৪০ থেকে ৩০০ টাকা! আজ কেশবপুর বাজারের গাজীর মোড়ে পাচুর দোকানে যেয়ে দেখা যায়, বড় তরমুজ প্রতি কেজি ৫০ টাকা ও ছোট তরমুজ প্রতি কেজি ৪০ টাকা। অথচ এই তরমুজের দাম ১৫০ টাকার বেশি হওয়ার কথা নয়।
প্রতি তরমুজ কমপক্ষে ১০০ টাকা বেশিতে বিক্রি হচ্ছে। লকডাউনে নিম্ম ও নিম্ম মধ্য লোকের আয় না থাকায় । তাদের কাছে তরমুজ সোনার হরিণ হয়ে গেছে। একটি তরমুজের দাম খেটে খাওয়া একটি লোকের এক বেলা জনের দামের সমান।
ভ্যান চালক ইসলাম বলে “হাইরে তরমুজ আমার ভাগ্যে নেই তুই কোটি পতির বাড়ি যা”। বাজারে আসা তরমুজ ক্রেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বাজার মনিটরিং এর দাবি জানান।
Leave a Reply