মুহাম্মদ আমানুল্লাহ আমান, ক্ষেতলাল(জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ
জয়পুরহাটের ক্ষেতলালে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করায় ড্রেজার মেসিনসহ মালামাল জব্দ করেছে ক্ষেতলাল উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মৌসুমি হক।
জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার হোপ পীর হাট সংলগ্ন হারাবতি নদীতে ড্রেজার মেসিন বসিয়ে গত কয়েকদিন যাবত রাতের আধাঁরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছিলেন হোপ গ্রামের আবু সাঈদ।
খবর পেয়ে, ২৫ শে মে সকাল ১১ টায় ক্ষেতলাল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মৌসুমি হক পুলিশসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত পাইপলাইন ধ্বংস ও ড্রেজার মেশিনসহ যাবতীয় সরঞ্জামাদী জব্দ করে থানায় নিয়ে যান।
উল্লেখ্য, এর পূর্বেও গত ১১ ই মার্চ স্থানীয়দের অভিযোগ ও সাংবাদিকদের তথ্যের ভিত্তিতে ঐ একই জায়গা থেকে ড্রেজার মেসিন ও অবৈধভাবে বালু উত্তোলন কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জামাদী জব্দ করেন ক্ষেতলাল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ.এফ.এম আবু সুফিয়ান।
গত ১৫ দিন পূর্বে উপজেলা প্রশাসনের নিকট আর কখনও এধরনের কাজ করবেনা মর্মে মুচলেকা দিয়ে আবু সাঈদ তার সরঞ্জামাদী নিয়ে আসেন।
তারপর আবারও প্রশাসনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে গত ৩ দিন যাবত ঐ একই জায়গায় রাতের আধাঁরে ড্রেজিং করে বালু উত্তোলন করেন আবু সাঈদ।
অভিযান চলাকালীন সময় একজন কৃষক জানান, এসব লিয়ে যায়ে কোন লাভ নাই,আজ লিয়ে যাবে কয়েকদিন পর আবার ঠিকই ফেরত দিবে, তারপর ফেরত নিয়ে আসে আবার তুলবে। সবই নাটক।
এর আগেওতো লিয়ে গেছলো, কি করা পারিছে?
পূর্বেও আবু সাঈদ নদীর পাড়ত থেকে ভিকু মেশিন দিয়ে মাটি কাটে ১০/১৫ টা মেসি দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় মাটি বিক্রি করিছে।
তার ভূমিদস্যুতার কারনে নদীর যেমন ক্ষতি হচ্ছে। তেমনি ক্ষতি হচ্ছিল আশপাশের ফসলি জমির।
ক্ষেতলাল উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মৌসুমি হক সাংবাদিকদের জানান,
ঘটনাস্থলে কাউকে পাওয়া যায়নি। সবাই পালিয়ে যাওয়ায় তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়নি। তবে বালু উত্তোলনের ঘটনাস্থল থেকে ড্রেজার মেশিন সহ যাবতীয় সরঞ্জামাদী জব্দ করা হয়েছে।
Leave a Reply