মোঃ নাসিম, নাচোল (চাঁপাইনবাবগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোলে ২০দলীয় জোটের ধানের শীষ প্রতিকের পৌর মেয়র প্রার্থী শুচির নির্বাচনি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল বৃহস্প্রতিবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে নাচোল ডাক বাংলো পরিষদ প্রাঙ্গনে নির্বাচনী সভায় সভাপত্বি করেন, নাচোোল উপজেলা বিএনপির সাধারন সম্পাদক এম. মজিদুল হক। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র চেয়ারপার্সন এর উপদেষ্ঠা ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও সাবেক এমপি মিজানুর রহমান মিনু। প্রধান বক্তা হিসাবে বক্তব্য দেন বিএনপির রাজশাহী বিভাগের কেন্দ্রীয় দায়িত্ব প্রাপ্ত সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক উপমন্ত্রী রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু। বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন
কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহম্মেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক পারভীন আক্তার, সদস্য কাজী হেনা, গোমস্তাপুর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান বাইরুল ইসলাম, নাচোল উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আবু তাহের খোকন, ভোলাহাট উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শাহানাজ খাতুন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ও যুবদলের সাবেক সভাপতি আসাদুল্লাহ আহমেদ, রহনপুর পৌর বিএনপির সাবেক আহবায়ক এনায়েত করিম তোকি, নাচোল উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক তৌফিক আহম্মেদ, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর শামসুননাহার। এছাড়া অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী জেলা মহিলা দলের প্রস্তাবিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক মাসউদা আফরোজ হক শুচি, পৌর বিএনপির আহবায়ক রফিকুল ইসলাম, সদস্য সচীব একিউএম মাসুদ হাসান রানা, সাবেক ছাত্র নেতা রানা, জেলা ছাত্র দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হাসান ইমতিয়াজ প্রমূখ। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মিজানুর রহমান মিনু বলেন, বক্তব্যের মাঝে বলেন, আমরা আজ নির্বাচনী সভা করতে এসেছি। কোন রাজনৈতিক বক্তব্য দিতে আসেনি। নাচোলের মাটি বিএনপির ঘাটি তা আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী প্রমান করে দিতে হবে। তে-ভাগা আন্দোলনের পটভূমি ইলামিত্রের বরেন্দ্রভ’মি নাচোল আন্দোলনের জায়গা। নাচোলে নারী নেতৃত্বের অহংকার ,তারন্য দিপ্ত শুচিকে আমারা ২য় ইলামিত্র হিসাবে দেখতে চাই। তার চোখে মুখে আন্দোলন আওয়াজ শুনতে পাই। আমি ১৭ বছর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ছিলাম। আমি জানি কিভাবে কাজ করতে হয়। শুচিকে আপনারা ভোট দিয়ে বিজয়ী করলে আমি তাকে কিভাবে উন্ন্য়ন করতে হয় শিখিয়ে দিবো। জনগণই পারে পরিবর্তন ঘটাতে। আন্দোলনে কখনো পিছে, কখনো আগে, কখনো কৌশলে এগুতে হয়। এই নির্বাচন অংশ নেওয়া আমাদের কৌশল মাত্র। ইনশাল্লাহ আমাদের বিজয় আসবে একদিন। ভারতের এজেন্ট, ইসরাঈল দোসর এই সরকারকে আমরা আর দেখতে চাইনা। আমরা জানি আমাদের এক পা কারাগারে একপা কবরে তা জেনে আমরা রাজপথে আছি। আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারী নির্বাচনে শহীদ জিয়াউর রহমানের প্রতীক, বেগম খালেদা জিয়ার প্রতীক ও তারেক রহমানের প্রতীক ধানের শীষে ভোট দিয়ে শুচিকে নির্বাচিত করবেন।
Leave a Reply