মুহাম্মদ মতিন, স্টাফ রিপোর্টারঃ
বগুড়ার আদমদীঘিতে জেসমিন আক্তার নামে দশম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী অলৌকিকভাবে মেয়ে থেকে ছেলে হওয়ায় এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুরুষে রূপান্তরিত হওয়ার পর তার নাম রাখা হয়েছে জুবায়েদ মণ্ডল। আদমদীঘি উপজেলার লক্ষিপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার ঘটনাটি জানাজানি হলে উৎসুক জনতা তাকে দেখতে ভিড় জমায়।
আদমদীঘি নসরৎপুর ইউপির লক্ষিপুর গ্রামের কৃষক জালাল হোসেন স্ত্রীকে গর্ভাবস্থায় রেখে বিদেশে চলে যান। জেসমিন আক্তার ভূমিষ্ঠ হওয়ার পর থেকে নানা-নানির বাড়ি উপজেলার শাওইলে বসবাস করেন। সেখানে জেসমিন আক্তার বড় হয়। শাওইল দ্বীমুখি উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণিতে লেখাপড়া করেন জেসমিন। দুই বছর আগে তার বাবা বিদেশ থেকে বাড়িতে এসে কৃষি কাজ করেন আর তাদের সংসারে এক মেয়ে এক ছেলে ছিলো। বড় মেয়ে জেসমিন আক্তারকে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেয়ার কথা ভাবছিলেন। এদিকে গত চার মাস আগে জেসমিন আক্তারের কন্ঠস্বর বদলে যেতে শুরু করে। ছেলেদের মতো কণ্ঠস্বর হতে থাকে। তারপর থেকে তার আচার-আচরণ ছেলেদের মতো হতে থাকে। ৪৫ দিনের মাথায় জেসমিন আক্তারের শারীরিক গঠন পরিবর্তন হয়ে ছেলেতে রূপান্তরিত হয়। এ ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে উৎসুক জনতা তাকে দেখতে তাদের বাড়িতে প্রতিদিন ভিড় জমাচ্ছেন। জেসমিন আক্তার বলেন, লেখাপড়ার পাশাপাশি নামাজ রোজা ও তাহাজ্জুতের নামাজ পড়তাম। প্রথমে তেমন কিছু মনে হয়নি। তিন মাস আগে হঠাৎ একদিন আমার গায়ে জ্বর আসে। এরপর থেকে মেয়ে থেকে ছেলেতে রূপান্তরিত হই। এখন আমার নাম জুবায়েদ মণ্ডল। এখন আমি পূর্ণাঙ্গ পুরুষ হিসেবে সুস্থ।
জেসমিনের বাবা জালাল হোসেন মণ্ডল সাংবাদিকদের জানান, বড় মেয়েটি ছেলেতে রূপান্তরিত হওয়ায় তার নাম রেখেছি জুবায়েদ মণ্ডল। আমি অনেক খুসি হয়েছি মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে।
Leave a Reply