নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বগুড়া শেরপুরে বস্তা পরিবর্তন করে কালোবাজারে বিক্রি করা যাবে সরকারি চাল,এমনটাই বললেন উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক সেকেন্দার রবিউল ইসলাম। বাংলাদেশ সরকারের খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির ১০ টাকা কেজি কালোবাজারি বিক্রি হওয়া চাল,গত বুধবার (৭ এপ্রিল) রাত্রি ৯টায় গাড়িদহ ইউনিয়নের ছোটফুলবাড়ি কাফুুরা ও রণবীর বালা সীমান্ত এলাকার লোকজন প্রায় ১০০বস্তা চাল আটক করে।
জনতার হাতে আটককৃত খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি ১০ টাকা কেজি চালের যথাযথ প্রমাণ দেওয়ার সত্বেও শেরপুরের ফুড অফিসার সেকেন্দার রবিউল ইসলামের কারসাজিতে নিমিষেই গাড়িসহ চাল উধাও হয়ে যায়।
সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, খামারকান্দি বাজার থেকে কালোবাজারিরা চাল ক্রয় করে দুইটি অটো রিক্সা ও একটি পিকআপ যোগে শেরপুর এর দিকে আসছিল । এ সময় জনতা দুইটি অটোরিকশা ও ১টি পিক-আপ আটক করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে শেরপুর খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসার সেকেন্দার রবিউল ইসলাম ও সহকারী কমিশনার ভূমি সাবরিনা শারমিন উপস্থিত হয়। সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সাবরিনা শারমিন কালোবাজারি ক্রয়-বিক্রয় চালের ব্যবস্থা ও পদক্ষেপ নিতে চাইলে খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসার সেকেন্দার রবিউল ইসলাম বাধা প্রয়োগ করে এবং কালোবাজারি চাল ব্যবসায়ীদেরকে পালাতে সাহায্য করে। এসময় নিমিষেই উধাও হয়ে যায় দুটি অটো রিস্কা ও একটি পিকআপ। এসময় সাংবাদিকরা সেকেন্দার রবিউল ইসলাম কাছ থেকে বক্তব্য নিতে চাইলে, এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে অস্বীকার করে দ্রুত গাড়িতে চলে যায়। পরবর্তীতে সাংবাদিকদের বলেন এটা যে সরকারি চাল এর প্রমাণ করে দিতে হবে এবং মামলা করতে হবে। সাংবাদিকরা প্রমাণ এবং মামলা করতে চাইলে খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসার সেকান্দার রবিউল ইসলাম তালবাহানা করে সটকে পড়ে।
এ বিষয়ে খাদ্যনিয়ন্ত্রক অফিসারের সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন,বস্তা পরিবর্তন করে চাল বিক্রি করলে আমাদের কিছু করার নেই। এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সাবরিনা শারমিন জানান, খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসার সেকেন্দার রবিউল ইসলামের সঙ্গে ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম কিন্তু সরকারি চাল খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসার অস্বীকার করায় আমরা চলে এসেছি।
Leave a Reply