মোঃফেরদৌস আহম্মেদ মিরাজ, কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
রাজারহাটে তিস্তানদীর পানি হঠাৎ বৃদ্ধি পাওয়ায় গত ২৯শে মে শনিবার রাতে ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের বুড়ির হাটের ৩০০মিটার স্পারটির সামনের অংশের ৩০ মিটার নিমিষেই রাক্ষুসে তিস্তায় ধ্বসে গেছে।উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে ভাটি অঞ্চলে তিস্তার পানি বেড়ে গিয়ে খরস্রোতের গতিবেগ বৃদ্ধি পাওয়ায় স্পারে সরাসরি আঘাত হানার ফলে অধিক ঝুঁকিপূর্ন অংশ টি তিস্তানদী গর্ভে ধ্বসে গেছে।এতে শংকায় রয়েছে ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়ন ও বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের কয়েকটি হাটবাজার, মসজিদ, মন্দির, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সহ প্রায় ১০ টি গ্রামের ১৫ হাজার নারীপুরুষ।গত বছর তিস্তার ভয়াবহ ভাঙ্গনে বুড়ির হাট স্পারটির পুরা অংশ তিস্তা নদীতে ভেঙ্গে যায়।
বুড়ির হাট স্পারটির ভাঙ্গন নিয়ে বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়া সংবাদ প্রচার করলে পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক বুড়ির হাট স্পারটি পরিদর্শনে আসেন এবং তাৎক্ষণিক স্পারটি পুনঃ নির্মাণে কুড়িগ্রাম পাউবি কে নির্দেশ প্রদান করেন।গত বছর কুড়িগ্রাম পাউবি শুকনো মৌসুমে টানা ৬ মাসে প্রায় ১কোটি টাকা ব্যয়ে স্পারটি বালু দিয়ে বাধ নির্মাণ করা সহ ৩০ হাজার জিও ব্যাগ বস্তা দিয়ে বাধের চারপাশ বেধে দেন ও তিস্তানদীতে ফেলে স্রোতের গতিধারা পরিবর্তন করে ভাঙ্গন ঠেকানোর চেষ্টা করেন।গত কয়েকদিন থেকে তিস্তার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় আবারো স্পারটির সামনের অংশ ধ্বসে যায়।বিশেষজ্ঞরা বলছেন স্পারের সামনে চর জেগে উঠায় স্পারের দিকে পানি গড়িয়ে এসে প্রবল স্রোতের আঘাতে স্পারটির কিছু অংশ ধ্বসে গেছে।
স্থানীয়দের দাবী টেকসই বাধ নির্মাণ করা না হলে জিও ব্যাগ দিয়ে তিস্তানদীর ভাঙ্গন ঠেকানো সম্ভব না।বুড়িরহাটের নদীর তীরবর্তী বাসিন্দা শাহ আলম বলেন জিও ব্যাগ দিয়ে এই রাক্ষুসে তিস্তার ভাঙ্গন ঠেকানো যাবেনা আর এই বুড়ির হাট স্পার টি ভেঙে গেলে দুটি ইউনিয়নে মোট ১০টি গ্রাম নদী ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে পরবে।ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের বুড়িরহাট,শরিষা বাড়ী,খিতাব খা ও মেদনী এবং বিদ্যানন্দ ইউনিয়নের রামহরি, চতুরা, মন্দির, পাড়ামৌলা গাবুর হেলান ও তৈয়বখা সহ আরও অনেক গ্রাম নদীভাঙ্গনের ঝুকিতে থাকবে। তাই তিনি নদীভাঙ্গন ঠেকাতে স্থায়ীভাবে পদক্ষেপ নিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এবিষয়ে রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুরে তাসনিম জানান সরকার তিস্তাকে নিয়ে মহাপরিকল্পনা গ্রহণ করেছেন,এই মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে সরকার চীন ও ভারতের সাথে আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন তাই বড় ধরনের বাজেট দিচ্ছেন না সরকার,তবে অস্থায়ী ভিত্তিতে নদীর ভাঙ্গন ঠেকাতে ইমার্জেন্সিতে কাজ করা হবে।কুড়িগ্রাম পাউবির এসডি মাহমুদ হাসান বলেন স্পারটি পুনরায় পুনঃসংস্কারের জন্য ইতিমধ্যে ৪হাজার জিও ব্যাগ ফেলানোর কাজ চলছে।জিও ব্যাগের সাথে সাথে জিও টিউব ফেলানোর চিন্তাভাবনা করছি।জিও টিউব ব্যাগ ফেলানো হলে স্পারটি টেকসই হবে।এতে প্রায় ১০লক্ষাধিক টাকা ব্যয় হবে বলে জানান এসডি মাহমুদ হাসান।
Leave a Reply