1. nahidbd6969@gmail.com : kurigrampratidin :
  2. 123@kurigrampratidin.com : itsme :
ভূরুঙ্গামারীতে সীমান্তে হত্যা, বন্ধের দাবিতে প্রতীকী লাশের মিছিল - কুড়িগ্রাম প্রতিদিন
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:২৩ পূর্বাহ্ন

ভূরুঙ্গামারীতে সীমান্তে হত্যা, বন্ধের দাবিতে প্রতীকী লাশের মিছিল

  • Update Time : শুক্রবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪
  • ১৩১ Time View
ভূরুঙ্গামারীতে সীমান্তে হত্যা, বন্ধের দাবিতে প্রতীকী লাশের মিছিল

ভূরুঙ্গামারীতে সীমান্তে হত্যা, বন্ধের দাবিতে প্রতীকী লাশের মিছিল।

ভূরুঙ্গামারী প্রতিনিধি: ভারত সীমান্তবর্তী কুড়িগ্রাম ভূরুঙ্গামারীতে এসেছে সীমান্তে হত্যা ও আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে হানিফ বাংলাদেশীর প্রতীকী লাশের মিছিল।

বৃস্পতিবার (২২ ফেব্রুয়ারী) সকাল ১০ টায় ভূরুঙ্গামারী উপজেলা পরিষদ গেটে সীমান্তে হত্যা ও আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে প্রতীকী লাশের মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় হানিফ বাংলাদেশীর নেতৃত্বে প্রতীকী লাশের মিছিলে উপস্থিত ছিলেন, গণতন্ত্রের রাজা এন ইউ আহম্মেদ , সৌরভ হোসেন বেলাল ও মো আরিফ প্রমুখ।

এর আগে তিনি কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে এ কর্মসূচি শুরু করেন। মিছিলটি বাংলাদেশের সাথে ভারত ও মিয়ানমার সাথে সীমান্ত আছে এমন সব জেলা ও উপজেলা প্রদক্ষিণ করে প্রতিবাদ জানাবে। কর্মসূচীটি যশোরের বেনাপোল উপজেলায় গিয়ে শেষ হবে।

কর্মসূচী সম্পর্কে হানিফ বাংলাদেশী বলেন, বাংলাদেশের প্রতিবেশি দুইটি দেশ ভারত ও মিয়ানমার সব সময় বাংলাদেশের উপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। ভারত সব সময় সীমান্তে নিরিহ মানুষকে পাখির মত গুলি করে হত্যা করছে। কিছুদিন আগে বাংলাদেশের একজন বিজিবি সদস্যকে বিএসএফ গুলি করে হত্যা করেছে। গত ৪ মাসে ভারত সীমান্তে ২১ জন বাংলাদেশী বিএসএফ এর গুলিতে নিহত হয়েছে। বিভিন্ন মানবাধিকারের হিসেবে ২০১০ সাল থেকে প্রায় ১২৭৬ জন বাংলাদেশীকে বিএসএফ হত্যা করেছে। ১১৮৩ জন আহত হয়েছে। আরেক প্রতিবেশি দেশ মিয়ানমার তাদের ১২ লাখ রহিঙ্গাকে অত্যাচার করে বাংলাদেশে পাঠিয়েছে। গত ৫ ফেব্রুয়ারী মিয়ানমারের আভান্তরিন যুদ্ধে মটারসেলে দুজন বাংলাদেশী নাগরিক নিহত হয়েছে। সীমান্ত আগ্রাসনের বিরুদ্ধে ২০২০ সালে আমি প্রতীকী লাশ কাঁধে নিয়ে ঢাকা থেকে কুড়িগ্রাম জেলায় পদযাত্রা করেছি।

হানিফ বাংলাদেশী আরো বলেন, বাংলদেশের জনগন সব সময় প্রতিবেশি ও বন্ধু দেশ গুলোর সাথে ভালো সম্পর্ক রাখতে চায়। কিন্তুু প্রতিবেশী দেশ দুইটি বাংলাদেশের সাথে বৈরি আচরণ করে। সীমান্তে বাংলাদেশিদের হত্যার পরে বলা হয় এরা গরু চোর, চোরাকারবারি। হতে পারে এরা গরু চোর, চোরাকারবারি। এদের আইনের আওতায় এনে বিচার করা হোক, গুলি করে হত্যা করবে কেন? ভারত ও মিয়ানমার যদি তাদের দেশের পাচারকারিদের দমন করে তাহলে বাংলাদেশের পাচারকারিরা এমনিতে থেমে যাবে।

স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে রাষ্ট্র ক্ষমতায় যে দলই এসেছে, সে দলই দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষমতায় থাকার জন্য দেশের মানুষের আত্মমর্যাদা বিসর্জন দিয়ে বিদেশিদের দ্বারস্থ হয়েছে। শাসকদের এই দুর্বলতার কারণে ভারত ও মিয়ানমার সব সময় বাংলাদেশের উপর আগ্রাসন চালিয়ে যাচ্ছে। ৩০ লক্ষ শহিদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীন দেশের মানুষ কখনও কোন দেশের দাদাগিরি মেনে নেয়নি, নতুন প্রজন্মও কোন দেশের আগ্রাসন মেনে নেবে না। বাংলাদেশের মানুষ আত্মমর্যাদা নিয়ে বিশ্বের দরবারে মাথা উচ্ছু করে বাঁচতে চায়।

তিনি আরো বলেন, এই কর্মসূচিতে আমারা দেশবাসীর সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি। দেশের সচেতন মানুষদের এই কর্মসূচী অংশ গ্রহণ করার আহবান জানাচ্ছি। যেদিন যে জেলা উপজেলায় এই মিছিল যাবে, সেখানে যে কোনো দল ও সংগঠনকে আমাদের সাথে সংহতি জানানোর আহ্বান জানাচ্ছি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

প্রকাশনা

সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি : মোঃ এনামুল হক

উপদেষ্টা সম্পাদক: মোঃ মোজাহার হোসেন

প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ নাহিদুল ইসলাম

বার্তা সম্পাদক: সি. আই মামুন

নির্বাহী সম্পাদক:

ব্যবস্থাপনা সম্পাদক:

© All rights reserved © 2024 কুড়িগ্রাম প্রতিদিন
Theme Customized By BreakingNews