রফিকুল হাসান রনজু, ভূরুঙ্গামারী (কুড়িগ্রাম) উপজেলা সংবাদদাতাঃ
ভূরুঙ্গামারীর বন্যা পরিস্থিতির অনেকটাই উন্নতি হয়েছে। কমেছে গদাধর, কালজানি, দুধকুমারসহ সবকটি নদনদীর পানি। দুধকুমার নদের পানি কমে নুনখাওয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ১৫সেঃমিঃ নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তবে পানি কমলেও দূর্ভোগ কমেনি বন্যাকবলিত মানুষের। ভাঙ্গছে কালজানি দুধকুমার। ঘরবাড়ি সরিয়ে নেওয়ার সময় পাচ্ছেনা অনেকেই। দক্ষিন ধলডাঙ্গা, শালঝোড়, দক্ষিন তিলাই, দক্ষিনছাটগোপালপুর, নলেয়া, ইসলামপুর, পাইকেরছড়া, চর ধাউরারকুটি, হেলোডাঙ্গার নদীতীরবর্তী মানুষেরা ভাঙ্গন আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে। নিম্নাঞ্চলের মানুষ এখনো পানিবন্দি রয়েছে। এসব এলাকায় দেখা দিয়েছে শুকনা খাবার, বিশুদ্ধ পানি, চিকিৎসাসহ গো-খাদ্যের সংকট। বন্যায় ক্ষেতের ফসল ,শাকসব্জি, পুকুরের মাছ হারিয়ে ব্যাপক ক্ষতিতে পড়েছে এসব মানুষ। কাঁচা-পাকা সড়ক তলিয়ে থাকায় বিচ্ছিন্ন রয়েছে যোগাযোগ ব্যবস্থাও।
উপজেলার শিলখুড়ী ইউনিয়নের শালঝোরের বাসিন্দা আঃ খালেক জানান, বন্যার পানি নামতে শুরু করলেও কাজ জুটছে না। ক্ষেতের ফসল নষ্ট হয়ে গেছে।নদীতে তেমন মাছও পাওয়া যাচ্ছে না। খেয়ে না খেয়ে দিন কাটছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, চিলমারী ও নুনখাওয়া পয়েন্টে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদ সীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, কমেছে দুধকুমারসহ অন্যান্য নদ-নদীর পানিও।
জেলা প্রশাসক মো: রেজাউল করিম জানান, কুড়িগ্রামে নদ-নদীর পানি কমতে শুরু করায় বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। বন্যা কবলিতদের জন্য সরকারি-বেসরকারি ত্রাণ অব্যাহত রয়েছে।
Leave a Reply