মহেশখালী প্রতিনিধিঃ
এবার নিউজ না করার জন্য টাকার অফার দিয়ে ব্যর্থ হয়ে তিন সাংবাদিককে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছে মহেশখালী কলেজের আইসিটি শিক্ষক, তালিকাভুক্ত রাজাকারের নাতী ও হত্যা মামলার চার্জশীটভূক্ত আসামী আবু ছরওয়ার রানা।
ঐ তিন সাংবাদিক হলেন দৈনিক ইনানী পত্রিকার মহেশখালী প্রতিনিধি আবু নাছের মুঃ হাসান, দৈনিক আমাদের কক্সবাজার পত্রিকার প্রতিনিধি গাজী আবু তাহের, দৈনিক আজকের দেশবিদেশ পত্রিকার প্রতিনিধি এস.এম. রুবেল।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১৯ এপ্রিল রাতে মহেশখালী পৌরসভার চরপাড়া লিডারশীপ কলেজের সামনে থেকে অপ্রীতিকর অবস্থায় এক নারী সহ আবু ছরওয়ার রানা এলাকাবাসীর হাতে আটক হয়। পরে শিক্ষক রানা কৌশলে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
অপরদিকে ঘটনাটি সোর্সের মাধ্যমে সংবাদকর্মীরা খবর পেয়ে তদন্তে নামে। তথ্য সংগ্রহের অংশ হিসেবে ঘটনা স্থলে উপস্থিত প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, মেয়েটির চাচার বক্তব্য, শিক্ষক রানার সহকর্মীর বক্তব্য সহ অভিযুক্ত রানার বক্তব্য নেন তারা। তারপর সংবাদকর্মীরা এই বিষয়ে ফেসবুক সহ বিভিন্ন নিউজ পোর্টালে সংবাদ করলে শিক্ষক রানা কৌশলের আশ্রয় নিয়ে মিথ্যা তথ্য দিয়ে সংবাদকর্মীদের লিগ্যাল নোটিশ দেন।
এই বিষয়ে সাংবাদিক আনম হাসান, গাজী আবু তাহের ও এস এম রুবেল জানান, সাংবাদিকের কাজ নানান কৌশলে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে তথ্যমূলক নিউজ সংগ্রহ করে তা নিরপেক্ষ ভাবে পরিবেশন করা। ঠিক তেমনটি করা হয়েছে। অভিযোগ পাওয়ার পর সত্যতা জানতে শিক্ষক রানার সাথে সরাসরি কথা হয়। ঐ সময় তার এক সহকর্মীও উপস্থিত ছিলেন। তখন কৌশলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে নিউজ না করার প্রস্তাব দেয়া হয়। তাদের প্রস্তাবে সাংবাদিকরা রাজি হননি। যে কেউ চাইলে লিগ্যাল নোটিশ দিতে পারে, তার বিপরীতে সকল তথ্য প্রমান তাদের হাতে আছে। তারা নিয়ম মোতাবেক পরবর্তী পদক্ষেপ নিবেন। মূলত অপকর্ম ধামাচাপা দিতে নিউজে প্রভাব ফেলার চেষ্টার অংশ হিসেবে নোটিশটি প্রদান করে।
তারা আরো জানান, সমাজের নানান অসঙ্গতি তুলে আনতে সাংবাদিকদের স্বাধীন ভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে। লিগ্যাল নোটিশের মাধ্যমে কাজে বাঁধা দেয়ার পায়তারা করা হচ্ছে মূলত। যা অনেকটা শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা।
এদিকে ঘটনাটি পুরো উপজেলায় আলোচিত হলে শিক্ষক রানার নানান কুকর্মের তথ্য উঠে আসতে থাকে । আইসিটি শিক্ষক রানা কালারমারছড়ার ওসমান চেয়ারম্যান ও বেলাল হত্যা মামলার চার্জশীটভুক্ত অন্যতম আসামী। এছাড়াও সে বিএনপি জামাতের সক্রিয় রাজনীতিতে জড়িত। তার দাদা জালাল আহমদ চৌধুরী যুদ্ধাপরাধী মামলার ৬৭ নং আসামী। তার নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা চলাকালীন সময় মহেশখালীতে নিরীহ মানুষদের হত্যা সহ বাড়িঘর পুড়িয়ে দেয়া হয় বলে জানা যায়।
এবিষয়ে জানতে রানার মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তাঁর (01819-032692) নাম্বারটি বন্ধ পাওয়ায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
Leave a Reply