শরিফা বেগম শিউলী, রংপুর প্রতিনিধিঃ
রংপুরে নারীদের ব্যবহার করে যৌনতা ও প্রতারণাকে পুঁজি করে অর্থ হাতিয়ে নেয়া সংঘবদ্ধ চক্রের মূলহোতা বীনা রানী ওরফে মুক্তা ওরফে সুমীসহ মোট ১১জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তাদের কাছে থাকা ১৩টি মোবাইল ফোন, সহজ-সরল লোকদের ফাঁসিয়ে নেয়া ৩টি এটিএম কার্ড, নগদ ২২ হাজার টাকা উদ্ধার করে পুলিশ। (৫মার্চ) শুক্রবার দুপুরে রংপুর মেট্রো পলিটন কোতয়ালী থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি আব্দুর রশিদ জানান, গত ৩ মার্চ প্রতারণার মাধ্যমে নীলফামারী’র ব্যবসায়ী রিয়াজুল ইসলামকে রংপুর নগরীর নুরপুর করবস্থান এলাকার একটি ৪তলা বাড়িতে নিয়ে গিয়ে মৃত্যুর ভয় দেখানোসহ মারপিট করে তার কাছ থেকে আড়াই লক্ষ টাকা ও তার বন্ধুর কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা আদায় করে। এর আগেও বীনা রানীর ফাঁদে পড়ে গঙ্গাচড়া উপজেলা পরিষদের এক কর্মকর্তা ৮৫ হাজার টাকা খোয়ান। এ ঘটনায় ১৩ ফেব্রুয়ারী থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন তিনি। এর পর মেট্রোপলিটন কোতয়ালী পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সাহায্যে বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর ধাপ এলাকা থেকে ওই চক্রের মূল হোতা বীনা রানীকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেয়া তথ্যমতে গতকাল সকাল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত নূরপুরসহ নগরীর বিভিন্ন এলাকা থেকে চক্রের বাকী ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরা হলেন, জাহাঙ্গীর আলম ওরফে কচি (৩৪), আহসান হাবীব (২৫), শ্রী বিষ্ণু রায় ওরফে আকাশ (১৯), সেকেন্দার রাজা (২৮), শ্যামল ওরফে নুর ইসলাম (৫৫), সোহাগী ওরফে রাজিয়া (৩২), জোনাকি ওরফে তিশা (২১), জান্নাতুল ফেরদৌস ওরফে জান্নাতি (২০), শাহনাজ (৩৫) ও লিজা মনি (১৯)
প্রতারণার ঘটনায় থানায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। চক্রের মূলহোতা বীনা রানী’র বিরুদ্ধে মানবপাচারের মামলাও রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
Leave a Reply