নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের
রংপুর জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক সোহেল রানা সোহেল এর বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং- ০৪ গত (১৪ জুলাই) বুধবার রাত ১২.২৫ মিনিটের দিকে রংপুর মেট্রোপলিটন হাজিরহাট থানায় মামলা দায়ের করেন।
এজাহার সূত্রে জানা যায় ১। মঞ্জুরুল(৪০), পিতা- মৃত গােলাম মােস্তফা, গ্রামঃ-বক্তিয়ারপুর উচাটারী, থানা-হাজীরহাট, ২। মােঃ লিপন (২৯), পিতা- আব্দুল লতিফ, গ্রামঃ বড়ভিটা, থানা-কিশােরগঞ্জ, জেলা-নীলফামারী, বর্তমান ঠিকানা- গ্রামঃ সিও বাজার বর্ডারগার্ড স্কুলের সামনের গলি, থানা-কোতয়ালী, রংপুর ৩। রাইমুল ইসলাম কোহিনুর(৪৪), পিতাঃ মৃত- প্রশামছুল হক, গ্রাম- উত্তর বিন্যাটারী, 8। মিলন (৪০), পিতা- আব্দুল জলিল, গ্রাম: উত্তম (মীলভীপাড়া, উভয়ের থানা-হাজীরহাট ,৫। লিমন মিয়া (৩৫), পিতা-মােঃ সুলতান মিয়া, গ্রাম-কেল্লাবন্দ সিওবাজার, থানা-কোতয়ালী,৬। সােহেল (৩৮), পিতাঃ সােলেমান, গ্রামঃ কেল্লাবন্দ সিওবাজার, ৭। তাজুল)(৩৫) পিতা- নুর ইসলাম, গ্রামঃ- কেল্লাবন্দ সিওবাজার, ৮ লিয়াম (৩২), পিতা- মৃত কাসিম, গ্রাম- কেল্লাবন্দ সিওবাজার সকলের জেলা রংপুর।
বাদী আব্দুর রহমান বলেন, গত ০৫/০৭/২০২১ ইং তারিখে আমার ছােট ভাই আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৩) এর স্ত্রী রংপুর মেট্রোপলিটন এর কোতয়ালী থানাধীন সিও বাজার বর্ডারগার্ড স্কুলের সামনে তার শ্বশুরবাড়ীর ভাড়া বাসায় চলিয়া যায়। গত ১২/০৭/২০২১ইং তারিখে বিকাল ৪টার দিকে আমার ভাই বাসার পাশের হাবিবুর রহমানকে সাথে নিয়া রংপুর সিও বাজারে আসিয়া বাস থেকে নামিলে আমার ভাইয়ের স্ত্রী এর সম্পর্কে দাদু সােলে তাদেরকে সাথে নিয়ে সিওবাজার বর্ডারগার্ড স্কুলের সামনে আমার ভাইয়ের শাশুরবাড়ির ভাড়া বাসায় নিয়ে যায়। সেখানে আমার ভাইয়ের স্ত্রী ও শাশুরীর সাথে আমার ডাইয়ের মনােমালিন্য হইলে আমার ভাইয়ের স্ত্রী পাশ কাটিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে চলে যায়। পরে আমার ভাইয়ের শ্বাশুরীর সাথে আমার ভাইয়ের বাক-বিতন্ডা শুরু হইলে। মঞ্জুরুল, লিপন, কোহিনুর, মিলন, লিমন, সােহেল, তাজুল, লিয়ামসহ অঙ্গত আরো কয়েকজন সেখানে উপস্থিত হয়ে আমার ভাই মামুন ও তার সাথে থাকা হাবিবুরকে এলােপাথারী মারধর করতে থাকে। লিমন আমার ভাই ও হাবিবুরকে বাড়ি থেকে বের করে প্রথমে বর্ডারগার্ড স্কুলের সামনে একটি হােটেলের ভিতরে নিয়ে বসালে আমার ভাইয়ের স্ত্রীর খালু মঞ্জুরুল, পিতা- মৃত গােলাম মোস্তফা ,গ্রামঃ-বক্তিয়ারপুর উচাটারী, থানা-হাজীরহাট, হােটেলে উপস্থিত হয়ে সকলকে আমার ভাই কে এলোপাতাড়ি মারার জন্য হুকুম দেয়। ৫ নং আসামী লিমন আমার ভাই মামুন ও হাবিবুরের কাছ থেকে দুইটা মোবাইল ও নগদ ১১হাজার ৫শত টাকা ছিনিয়ে নেয়। পরে মামুন ও হাবিবুরকে হাজির হাট থানাধীন মাছের খামারের মেশিন ঘরে আটকে রেখে আমার কাছে ২০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে মামুন ও হাবিবুরকে মারপিট করে। পরে আমি আমার ভভাই মামুনের বিকাশে ৫০০০টাকা বিকাশ করে দেই। বাকি ১৫ হাজার টাকার জন্য আবার ও এলোপাতাড়ি মারপিট করে এলাকাবাসী সেখান থেকে উদ্ধার করে চৌকিদার মোস্তফার বাসায় আশ্রয় নিয়ে ৯৯৯ কল দিলে হাজীর থানা পুলিশ উদ্ধার করে। তার সাক্ষী ঐ এলাকার অনেকে। আসামি মামুনকে মুঠো ফোনে দিয়ে মামলার ঘটনার সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন মামলার ঘটনার সাথে আমি জড়িত নই।আমাকে আসামি বানানোটাই ভিত্তিহীন।
এ বিষয়ে হাজীরহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তাফিজুর রহমান (ওসি) মুঠোফোনে ফোন দিলে ফোনে রিং হয় কিন্তু রিসিভ হয়না।
Leave a Reply