মোঃফেরদৌস আহম্মেদ, রাজারহাট (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
শুক্রবার বিকেল ৫ ঘটিকায় রাজারহাট উপজেলার ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নে সুলতান বাহাদুর গ্রামের নিরীহ একরামুল হকের বাড়ীতে গিয়ে সন্ত্রাসীরা ফিল্মী স্টাইলে কুপিয়ে ৫জন কে গুরুতর আহত করেছে।আহতরা হলেন বিজলী বেগম ও তার স্বামী সাঈয়্যিদুল,জাহিদুল ইসলাম,সায়েম ও আবু সায়িদ।আহত ৫জনের মধ্যে রংপুর হাসপাতালে ৩জন,লালমনিরহাট হাসপাতালে ১জন ও কাউনিয়া হাসপাতালে ১জনকে ভর্তি করে করা হয়েছে।তাদের মধ্যে বিজলী বেগমের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানিয়েছেন চিকিৎসক। এঘটনায় পুলিশ ৭জন কে আটক করে থানা হাজতে নিয়ে যান।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায় প্রতিবেশী আব্দুল হামিদ ও একরামুল হকের মধ্যে জমি জমা নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। স্থানীয়ভাবে তাদের বিরোধ মিমাংসা করার জন্য ঐ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রবিন্দ্রনাথ কর্মকার গ্রাম্য সালিশ বৈঠকে বসে উভয় পক্ষকে কাগজ পত্র দেখানোর কথা বললে, আব্দুল হামিদ প্রয়োজনীয় কাগজ পত্র দেখাতে ব্যর্থ হন। পরে আব্দুল হামিদ জমির কাগজপত্র দেখানোর জন্য তিন মাসের সময় চান। কিন্তু এক মাস না পেরুতেই চেয়ারম্যান রবিন্দ্রনাথ কর্মকার ও ঐ এলাকার সন্ত্রাসীদের গড ফাদার আলতাফ হোসেনের নির্দেশে ভাড়াটে সন্ত্রাসী লিওন, আরিফ,আব্দুল হামিদ,সানী সহ কয়েকজন একরামুল হকের বাড়ীতে গিয়ে প্রকাশ্যে দেশীয় অস্ত্র হাতে নিয়ে প্রবেশ করে জায়গা খালি করতে বলেন। ভুক্তভোগী একরামুল হক নিজের পৈত্রিক সম্পত্তি ছেড়ে দিতে অস্বীকৃতি জানালে সন্ত্রাসীরা এলোপাথাড়িভাবে কুপাতে থাকেন। এতে একরামুল হকের পরিবারের ৫জন সদস্য গুরুতর আহত হন। এলাকাবাসী সন্ত্রাসীদের আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেন। এবিষয়ে রাজারহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রাজু সরকার বলেন ঘটনাটি শোনার সাথে সাথে ঘটনাস্থল থেকে ৭জন কে গ্রেফতার করেছি।মামলার প্রস্তুতি চলছে।
Leave a Reply