দ্বীপাঞ্চলের তরুণ লেখকঃ জজাউল এহসানের লেখা কবিতা
দিনের ব্যাস্ততায় আর বইয়ের পাতায়,
চোখ রাখতে রাখতে আমি ক্লান্ত।
তাই,
এই রূপময় জ্যোসনা রাত উপভোগ করতে,
বাড়ির আঙিনায়, ঐ ছোট বেঞ্চিতে,
একলা একা বসে আছি ঐ চন্দ্রমার দিকে চেয়ে।
এই রূপময় জ্যোসনা রাত পরিশ্রান্ত, নিঝুম ও নিস্তব্ধ।
সব পাখ-পাখালিরা তাদের নীড়ে ঘুমোচ্ছে,
কোথাও কোনো পাতা নড়ার শব্দও নেই,
সম্পূর্ণ পৃথিবী যেন প্রচন্ড ঘুমে আচ্ছন্ন।
এমনকি,
প্রতিদিনের মতো বিরক্তিকর ঝিঁঝির ডাকও আজ শোনা যাচ্ছে না।
তারাও বুঝি আমার মতো নিরবে চাঁদ-তারার খেলা দেখায় মগ্ন।
এই পূর্ণিমার চাঁদ,
তার স্নিগ্ধ আলোয় সাজিয়েছে রাতের এই বিশাল আকাশটাকে।
রাতের এই কল্পনাহীন সৌন্দর্যের সমারোহ,
চন্দ্রালোকিত এই রাতের শোভা,
দেখেছি বিমুগ্ধ নয়নে,অন্তরের তৃপ্তি মেটাতে।
আমার এই পুলকিত মনটা,
এই রূপময় জ্যোসনা রাতে পাখা মেলে,
আর চায়,
এই গ্লানিহীন জ্যোসনার তরঙ্গ দোল খেয়ে খেয়ে,
গলে পড়া এই রাতের অফুরান রহস্যে উধাও হতে।
এমন রূপময় জ্যোসনা ভরা রাতে,
ঐ মায়াময় সৌন্দর্যের পানে চেয়ে,
কবিরা লেখেন গান আর কবিতা।
সাহিত্যিকেরা ভাবের উদয় করেন।
প্রেমিকেরা রোমান্টিকতায় আচ্ছন্ন থাকেন।
শিল্পীর প্রাণচাঞ্চল্য হয়ে মধুর সুরে গান করেন।
আর অসুস্থ শহুরে সুস্থতা ও নির্মলতা ফিরিয়ে আনেন।
জ্যোসনা রাতের এই মোহনীয় রূপ,
আমায় মুগ্ধ করেছে।
অপূর্ব সৌন্দর্য্যময় করে তুলেছে,
পৃথিবীর চারপাশ।
আর আমায় অন্ধত্ব থেকে বের করে,
বাড়িয়ে দিয়েছে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিশক্তি আর সুষম স্নায়ুবেগ।
Leave a Reply