রোগ নিরাময়ে বিকল্প প্রাকৃতিক উৎস খুঁজে বের করতে হবে বলে জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।
তিনি বলেছেন, ‘দেশে বিভিন্ন রোগব্যাধি নিরাময়ে অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের ব্যবহার বেড়েছে। কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও রয়েছে। তাই মানুষ বিকল্প হিসেবে ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনের দিকে ঝুঁকছে। এর প্রধান কারণ এই ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও কম।’
শনিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে ফার্মেসি ডিসিপ্লিন এবং ফাইটোকেমিক্যাল সোসাইটি অব ইউরোপের আয়োজনে ন্যাচারাল প্রোডাক্টস ফর হেলদি লিভিং (স্বাস্থ্যকর জীবন ধারণের জন্য প্রাকৃতিক পণ্য) শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সরকার ওষুধ তৈরির ক্ষেত্রে মানসম্মত হয়, রোগীদের জন্য নিরাপদ হয় সেজন্য কোয়ালিটি কন্ট্রোল নিশ্চিতে গুরুত্বারোপ করেছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ সব ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে। ওষুধ তৈরি সেক্টরেও বিপ্লব ঘটেছে। গত দুই দশক আগে শতকরা ৮০ ভাগ ওষুধ আমদানি করা হতো, এখন ৯৮ ভাগ ওষুধ দেশেই তৈরি হচ্ছে। মাত্র ২ ভাগ ওষুধ বিদেশ থেকে আমদানি হয়। দেশের প্রয়োজন মিটিয়ে এখন বিপুল পরিমাণ ওষুধ বিদেশে রফতানি করা হয়। সরকার রোগ চিকিৎসায় ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনকে অল্টারনেটিভ হিসেবে প্রমোট করতে উদ্যোগ নিয়েছে এবং সে লক্ষ্যে বিভিন্ন কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় একটি বড় মেলার আয়োজন করা হচ্ছে যার উদ্দেশ্য ট্র্যাডিশনাল মেডিসিনকে জনপ্রিয় করতে এবং এর উন্নয়নে ওষুধ শিল্প ও রফতানিকারকদের মধ্যে যোগসূত্র স্থাপন।’
সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশনে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, জেলা প্রশাসক হেলাল হোসেন, ইউনিমেড ইউনিহেলথ ফার্মাসিটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোসাদ্দেক হোসেন, যুক্তরাজ্যের জন মুরস বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি এবং বায়োমলিকুলার সায়েন্স স্কুলের পরিচালক ও ইউরোপের ফাইটোকেমিক্যাল সোসাইটির (পিএসই) সভাপতি প্রফেসর সত্য সরকার, বাংলাদেশ ফার্মেসি কাউন্সিলের প্রাক্তন সহ-সভাপতি সুভাষ সিংহ রায়।
সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনের চিফ প্যাট্রন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।
এছাড়া সমাপনী অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন, আয়োজক কমিটির আহ্বায়ক ফার্মেসি ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. আশীষ কুমার দাস। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জর্ডান, রুমানিয়া, মালয়েশিয়া, ভারত, বাংলাদেশসহ সাতটি দেশের ৩০টি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক বিজ্ঞানী এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ, ডিনবৃন্দ, রেজিস্ট্রার এবং ফার্মেসি ডিসিপ্লিনের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
Leave a Reply