নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
বগুড়ার শেরপুরে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুকুর থেকে মাটি খননকারী যন্ত্র দাড়া মাটি কেটে বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করছে অত্র প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটিবৃন্দ।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গত ৩০শে এপ্রিল (শুক্রবার) উপজেলার বিশালপুর ইউনিয়নের বেওড়াপাড়া মৌজার, বেওড়াপাড়া সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের সরকারি পুকুরটি স্কেপিটর (বেকু) দিয়ে সংস্কার এর পাশাপাশি ড্রাম ট্রাক যোগে বিভিন্ন স্থানে মাটি বিক্রয় করছেন অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি। ঐ বিদ্যালয়ের পুকুরের মাটি ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নাজিম তার নিজের বাঁশবাগানে মাটি নেওয়ার কথা বলে ডামট্র্াক যোগে অন্যত্র মাটি বিক্রি করে হাতিয়ে নিচ্ছেন মোটা অংকের অবৈধ টাকা। আরও দেখা যায় অল্প কিছু মাটি তার বাঁশবাগানে নিলেও একই গ্রামের নছির এর ছেলে ছোওরাব সহ অন্যত্রেও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পুকুরের মাটি বিক্রি করছেন। যেন আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে যাচ্ছেন তিনি সহ ম্যানেজি কমিটির অন্য সদস্যরাও। নিছক এটা তার মাটি বিক্রি করার একটা ধান্দা।
এ বিষয়ে জানার জন্য বেওড়াপাড়া সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা চন্দ্রনা এর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তার সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এবিষয়ে অত্র প্রতিষ্ঠানের সভাপতি মো: নাজিম কে ফোন দিলে তার স্ত্রী ফোন রিসিভ করে এই প্রতিবেদকে জানান তার স্বামী অসুস্থ্য এখন কথা বলতে পারবে না।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা মাধ্যমিক সহকারী শিক্ষা অফিসার মোছা: মোর্শেদা আক্তার বানুর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, যদিও এমন বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে ম্যানেজিং কমিটি রেজিলেশনের মাধ্যমে যদি মাটি কাটে তবে তা বৈধ।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: ময়নুল ইসলাম এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঐ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি কিভাবে পুকুর স্বংকার এর পাশাপাশি মাটি বিক্রি করছে তা খতিয়ে দেখা হবে।
Leave a Reply