প্রতিটি খাদ্য উপাদানেরই রয়েছে নির্দিষ্ট মেয়াদ। মেয়াদ পার হয়ে গেলে সেটা স্বাভাবিক নিয়মে নষ্ট হয়ে যাবে। তবে অনেক সময় খাদ্য উপাদান সংরক্ষণের ভুলে সময়ের আগেই তা নষ্ট হয়ে যায় বা পচে যায়। প্রতিটি খাদ্য উপাদান সংরক্ষনের জন্যেই আছে সঠিক ও নির্দিষ্ট নিয়ম। সেটা একদম শুকনো উপাদান থেকে শুরু করে লেটুস পাতার জন্যেও প্রযোজ্য। নিয়মগুলো সাধারণ হলেও তা জেনে রাখা প্রয়োজন।
শুকনো পাস্তা
অনেকেই শুকনো পাস্তা প্যাকেটের ভেতরেই সংরক্ষণ করেন। কিন্তু এতে করে পাস্তা ঝরঝরে ও ফ্রেশ থাকার বদলে খুব দ্রুত পুরনো হয়ে যায়। তাই শুকনো পাস্তা সংরক্ষণের জন্য এয়ার টাইট কাঁচের বোয়াম ব্যবহার করা সবচেয়ে সঠিক উপায়।
পাউরুটি/ বনরুটি
পাউরুটি বাইরের আবহাওয়ায় ভালো থাকলেও, ফ্রিজের ঠান্ডা আবহাওয়ায় বেশিদিন পর্যন্ত ভালো থাকে। যদিও ফ্রিজে রাখার ফলে পাউরুটি শক্ত হয়ে যায় বলে অনেকেই ফ্রিজে রাখার পক্ষপাতি নন। এক্ষেত্রে একটি সহজ সমাধান আছে। পাউরুটির উপর পানি ছিটিয়ে ১৫ সেকেন্ড মাইক্রোওয়েভ ওভেনে গরম করলেই পাউরুটি পছন্দসই নরম ও ফ্রেশ হয়ে যাবে।
লেটুস
লেটুস খুব দ্রুত ও অল্প সময়ের মাঝেই নষ্ট হয়ে যায় এবং পাতার ফ্রেশনেস চলে যায়। লেটুসকে একদম ফ্রেশ রাখার জন্য ধুয়ে সম্পূর্ণ শুকিয়ে কাগজের ব্যাগে সংরক্ষণ করতে হবে। লেটুসের প্রধান শত্রু হল পানি। পাতায় পানি থাকলেই লেটুস দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজ সংরক্ষণের ব্যাপারটি বেশ কৌশলের। পেঁয়াজ দীর্ঘদিন ভালো রাখার জন্য শুকনো, অন্ধকার ও ঠান্ডা স্থানে রাখতে হবে। সাথে খেয়াল রাখতে হবে, সে স্থানে যেন যথেষ্ট পরিমাণ বাতাস চলাচল করে এবং পেঁয়াজের আশেপাশে যেন আলু না থাকে। যদিও পেঁয়াজ ও আলু উভয়ই সংরক্ষণের জন্য একই রকম আবহাওয়া প্রয়োজন, কিন্তু এই দুইটি উপাদান একসাথে রাখা হলে উভয়ই দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। আলু ও পেঁয়াজ থেকে নির্গত গ্যাস ও আর্দ্রতা উভয়কে দ্রুত পচিয়ে ফেলে।
ময়দা
অনেকেই ময়দার প্যাকেট খুলে সেখান থেকেই সময়ে সময়ে ময়দা ব্যবহার করেন। কিন্তু এতে করে ময়দা তার মেয়াদ হারায় দ্রুত। এয়ার টাইট কাঁচ, প্লাস্টিক অথবা ধাতুর বোয়ামে ময়দা রাখা ভালো থাকবে সবচেয়ে বেশিদিন। বিশেষত ময়দা যদি এয়ার টাইট বোয়ামে রেখে রেফ্রিজারেটরে সংরক্ষণ করা যায়, তবে সবচেয়ে ফ্রেশ থাকবে।
বিভিন্ন ধরনের ফল
ফল সংরক্ষণের জন্য রেফ্রিজারেটর অবশ্যই সঠিক নিয়ম, তবে আপেল কিংবা অন্যান্য সবজির সাথে বিভিন্ন ধরনের ফল মিশিয়ে একসাথে রাখলে ফ্রিজে রেখেও কোন লাভ হবে না। আপেল ও বেশিরভাগ সবজি থেকে নিঃসৃত গ্যাস সহজেই অন্যান্য ফলকে দ্রুত পাকিয়ে ফেলে এবং এতে করে অল্প সময়ের মাঝেই ফল পচে যায়। তাই ফ্রিজে রাখতে হলে প্রতিটি ফল আলাদা আলাদাভাবে সংরক্ষণ করতে হবে।
Leave a Reply