শরিফা বেগম শিউলী, রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
রংপুর জেলার সদর কোতয়ালী থানার পাগলাপীরে গোকুলপুর পূর্ব চওড়া পাড়ায় বাপ-দাদার পৈত্রিক সম্পত্তি নিয়ে বিরোধ চলতেছে।রবিবার (১৮ এপ্রিল) দুপুর ১২ টার দিকে বাপ-দাদার সম্পত্তি নিয়ে ভাইবোনদের মধ্যে এ বাক-বিতণ্ডার ঘটনা ঘটে।
লাবিবুল হকের বোন কুকিলা ও পারভীন ভাইয়ের কাছে জমি বিক্রির কথা বলে বায়নার টাকা বাবদ ১০০.০০০/- (এক লক্ষ) টাকা নিয়েছিলেন। সেই জমি অন্য জনের কাছে জমি বিক্রি করে বোনেরা। জমি রেজিস্ট্রি করার সময় ভাইয়ের কেনা জমির হাল তুলে দুই দাগে জমিটি কওলা করে।পরে বায়নাকৃত ভাই বেপারটা জানতে পেরে কোর্টে মামলা দায়ের করেন। কোর্টের নোটিস পাওয়ার পরেও আইন অমান্য করে সেই জমিতে ভাইয়ের লাগানো গাছ কেটে ক্রয়কৃত জমির মালিক রাজ্জাক মিয়া গায়ের জোরে স্থাপনার কাজ শুরু করেন।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সদর থানায় অভিযোগ করেছে ভাই লাবিবুল হক।
রংপুর জেলার কোতোয়ালি থানার, মৌজা গোকুলপুর, জে এল নং-৮, বুজরত খতিয়ান নং- ৪০৯, আর. এস খতিয়ান নং-৪৮৬, সাবেক দাগ নং- ৪২৫, জমি- ৭৪ শতক, সাবেক দাগ নং- ৪২১ বাই ১৫৯২, আর. এস দাগ নং- ৪২৫, জমি-৭৪ শতকের মধ্যে ২.৫০ শতক ( প্রকৃত পক্ষে আর.এস ৪২৫ দাগটি ২/৩ নং প্রতিপক্ষের মালিকানাধীন না হওয়ায় নালিশী ৪২৪ দাগ হইতে ০২.৫০ শতক জমি বিক্রয় করা হয়েছে)
সরেজমিনে গেলে লাবিবুল হক বলেন, আমরা পাঁচ ভাই-বোন এর মধ্যে দুই ভাই তিন বোন। আমার বাসার পাশে বাপ-দাদার জমি আছে ১০ শতক। সেখানে আমরা পাঁচ ভাই-বোনেই অংশীদার। সেই ১০ শতক জমির মধ্যে আমার বড়ভাই ও এক বোনের অংশ কিনে নিয়েছি। কিন্তু আমার বাকি দুই বোন কুকিলা ও পারভীন দু’জনেই সেখান থেকে ২.৮৫ জমি পায়। যেহেতু বড় ভাই এবং এক বোনের জমি আমি কিনে নিয়েছি। বাকি দুই বোনকে বলেছি তোদের জমির অংশ বিক্রি করলে জানাস। আমার দুই বোনের অংশ ২.৮৫ জমি মূল্য নির্ধারণ করা হয়। ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকা করে ২,০০,০০০/- (দুই লক্ষ) টাকা। কুকিলা ও পারভীন দুই বোনের টাকার দরকার হলে জমি বাবদ অগ্রিম ৫০,০০০/- (পঞ্চাশ হাজার) টাকা করে নেয়। তাদের সঙ্গে কথা হয়েছে বাকি টাকা দিয়ে জমি কওলা করে নেওয়া হবে। হঠাৎ করে শুনি আমার পাশের বাড়ির আব্দুর রাজ্জাকের কাছে আমার দুই বোন কুকিলা ও পারভীন জমি বিক্রি করেছে।
এ বিষয়ে রাজ্জাকের সঙ্গে কথা বললে রাজ্জাক বলেন, আমি আমার হক টাকা দিয়ে জমি কিনেছি। তাই আমার জমি আমি বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে ঘিরে রাখতেছি। তারা মামলায় রায় পেলে আমি জমি ছেড়ে দিব।
২নং হরিদেবপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের মেম্বার রেজাউল করিম দাদুল বলেন, আমি জানি ওই জমি নিয়ে মামলা চলছে। মামলা চলাকালীন অবস্থায় কোন পক্ষেও জমিতে নামতে পারবে না। অথচ রাজ্জাক মিয়া গায়ের জোরে আইন অমান্য করে গাছপালা কেটে অবৈধভাবে স্থাপনা করছে।
এ বিষয়ে সদর কোতয়ালী থানার এস আই আহসান হাবীবেক মুঠোফোনে কল দিলে রিং হয় কিন্তু ফোন রিসিভ হয় না
২ নং হরিদেব ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ইকবাল হোসেন বলেন, ওদের ঘটনাটা আমি জানি, যেহেতু কোর্টে মামলা হয়েছে। বিষয়টি কোর্টের মাধ্যমে সমাধান হবে বলে আমি আশা করি।
Leave a Reply