পরিবারকে জিম্মি করে ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর ও আসবাবপত্র ভাংচুর
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পরিবারের স্বামী স্ত্রীকে আটকে রেখে তাদের থেকে ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর বসতবাড়ী তল্লাশি ও আসবাবপত্র ভাংচুরের অভিযোগ উঠেছে। এসব অভিযোগ করেছেন কুড়িগ্রাম ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাইকেরছড়া ইউনিয়নের বেলদহ গ্রামের মুন্সিপাড়া এলাকার কফছার আলী। এ বিষয়ে কুড়িগ্রাম জেলা আদালতে পাইকের ছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আঃ রাজ্জাক সরকার সহ ৪ জনের নামে ২টি মামলা করেছেন ভুক্তভোগী।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২৬ অক্টোবর শনিবার রাত ২ টার দিকে ভুক্তভোগী কফছার আলীর বাড়িতে ইউপি চেয়ারম্যান-সহ অজ্ঞত আরো ১২-১৪ জন মিলে তার বাসায় প্রবেশ করে ভুক্তভোগীর হাত থেকে মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তার ঘরে থাকা আলমারি আসবাবপত্র ভাংচুর ও বসতবাড়ি তল্লাশি করে একটি অ্যান্ড্রয়েড মোবাইল ফোন ও দুইটি ভোটার আইডি কার্ড ছিনিয়ে নেয়।
২৮ অক্টোবর রাত ৪ টার দিকে পুনরায় ভুক্তভোগীর বসতবাড়ি থেকে কফছার ও তার স্ত্রীকে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে চেয়ারম্যানের বাসায় আটটি ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেন ইউপি সদস্য হারুন মেম্বার।
এ বিষয়ে কফছার আলী বলেন, ঢাকায় আমার জামাই একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন, ২৬ অক্টোবর রাত ২ টার দিকে পাইকের ছাড়া ইউপি চেয়ারম্যান-সহ অজ্ঞাত ১২-১৪ জন লোক এসে ডিবি পরিচয় দিয়ে আমার বসতবাড়ি তল্লাশি করে এবং মিথ্যা অপবাদ দিয়ে বলে আপনার জামাই ঢাকা থেকে এক কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে এবং আপনার বাড়িতে আত্মগোপনে আছে বলে আমার কাছে টাকা দাবী করেন।
তিনি আরো বলেন, আমি এ সব বিষয়ে কিছুই জানি না, পরে চেয়ারম্যান ও তার সাথে থাকা লোকজন আমার কাছে এক লক্ষ টাকা দাবী করে। টাকা দিতে না পারায় ২৮ অক্টোবর আমাকে ও আমার স্ত্রীকে জোরপূর্বক চেয়ারম্যান এর বাসায় তুলে নিয়ে যায় এবং সেখানে নন জুডিশিয়াল ৮টি ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়, আমি স্বাক্ষর দিতে না চাইলে আমাকে মারধর করে। এতেও তারা শান্ত হয়নি সন্ত্রাসী কায়দায় সোনাহাট ময়নাতলা এলাকায় আমার ছেলের শশুরবাড়ী ও জামাই বাড়িতে তল্লাশি ও ভাংচুর করেছে চেয়ারম্যান ও তার সাথে থাকা সন্ত্রাসী বাহিনী,
এ বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আঃ রাজ্জাক সরকার ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর ও বসতবাড়ি ভাংচুরের কথা অস্বীকার করে বলেন, ঢাকা থেকে কিছু লোক আসছিলো আমাকে তারা কফছারের জামাইয়ের বিষয়ে অবগত করে বলেন, সে ঢাকা থেকে দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ করে কফছারের বাড়িতে আত্মগোপনে আছে। আমি বিষয়টি যাচাই করার জন্য তার বাড়িতে যাই সেখানে কফসারের জামাইকে না পেয়ে চলে আসি।
ভূরুঙ্গামারী থানার অফিসার ইনচার্জ মুনিরুল ইসলাম বলেন, পাইকেরছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আঃ রাজ্জাক সরকার সহ ৪ জনের নামে বিজ্ঞ আদালতে পিটিশন মামলা হয়েছে, তদন্ত কপি হাতে পেয়েছি তদন্ত চলমান আছে।
Leave a Reply