1. nahidbd6969@gmail.com : kurigrampratidin :
  2. 123@kurigrampratidin.com : itsme :
করোনা ভাইরাসের সময় বাচ্চাকে মায়ের দুধ খাওয়ানো যাবে কি! - কুড়িগ্রাম প্রতিদিন
রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:১৩ অপরাহ্ন

করোনা ভাইরাসের সময় বাচ্চাকে মায়ের দুধ খাওয়ানো যাবে কি!

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৮ এপ্রিল, ২০২১
  • ৬২ Time View

আরমান হোসেন ডলার, বগুড়া (কাহালু) প্রতিনিধিঃ

দেশে করোনার প্রেক্ষাপট হঠাৎ করে বৃদ্ধি পাওয়ায় জনগণের মনে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে বিশেষ করে গর্ভবতী মা ও শিশু বাচ্চা নিয়ে অভিভাবকরা খুব চিন্তিত। এখন প্রশ্ন রয়ে গেছে এখানে করোনার এই মহামারী পরিস্থিতিতে বাচ্চাকে মায়ের দুধ খাওয়ানো যাবে কিনা.?

এ বিষয় নিয়ে আমরা যোগাযোগ করি বিশিষ্ট সাংবাদিক মানবাধিকার কর্মী, চিকিৎসা প্রযুক্তিবিদ মোঃ আরমান হোসেন ডলার এর সঙ্গে।

তিনি সুন্দরভাবে এই সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য আমাদের কাছে তুলে ধরেছেন। নিম্নরূপ তা তুলে ধরা হলোঃ

আপনি যদি একজন মা হয়ে থাকেন বা মা হওয়ার অপেক্ষায় থাকেন, তাহলে এই করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মহামারীর মধ্যে আপনার সন্তানের জন্য সবচেয়ে নিরাপদ কী, সেই প্রশ্নটা মনে আসা স্বাভাবিক।

শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর স্বপক্ষে বহু প্রমাণ রয়েছে। শারীরিক সংস্পর্শ এবং শুরুতেই ও পুরো মাত্রায় বুকের দুধ খাওয়ানো আপনার শিশুর বিকাশে সহায়তা করবে। এই মহামারীর মধ্যে তা বন্ধ করার কোনো কারণ নেই। এখন পর্যন্ত মায়ের দুধ এবং তা খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে কোভিড-১৯ যা সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

খুব অল্প সময়ের মধ্যে যদি আপনার সন্তান হওয়ার কথা থাকে, তাহলে আপনাকে নিরাপদে শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো, তাকে ত্বকের সংস্পর্শে নেওয়া এবং শিশুকে নিয়ে এক কক্ষে থাকতে সহায়তা করা উচিত।

আপনার নিজের ও সন্তানকে নিরাপদ রাখতে সহায়তার জন্য নতুন মা ও হবু মায়েদের কাছ থেকে আসা কিছু সাধারণ প্রশ্ন এখানে তুলে ধরা হল। আপনি সুস্থ বোধ করেন বা কোভিড-১৯ এর লক্ষণ ও উপসর্গ দেখা দিক – যে কোনো পরিস্থিতির জন্য এগুলো জেনে নেয়া গুরুত্বপূর্ণ।

০১- মহামারীর সময় কি মায়ের দুধ খাওয়ানো উচিত.?

👉 নিঃসন্দেহে। মায়ের দুধে অ্যান্টিবডি থাকে যা শিশুর শারীরিক বিকাশ ত্বরাণ্বিত করে এবং তাকে অনেক ধরনের রোগ সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দেয়। কোনো শিশু কোভিড-১৯ আক্রান্ত হলে মায়ের দুধে থাকা অ্যান্টিবডি এবং ল্যাক্টোফেরিন, ল্যাকটাডহেরিন, এপিডারমাল গ্রোথ ফ্যাক্টর ও এরিথ্রোপোইটিনের মতো বায়ো-অ্যাকটিভ ফ্যাক্টরগুলো এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়তে সহায়তা করে।

আপনার শিশুর বয়স ৬ মাস বা তার কম হলে তাকে শুধুমাত্র মায়ের দুধ খাওয়ানো উচিত। সন্তানের বয়স ৬ মাসের বেশি হলে নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর সম্পূরক খাবারের সঙ্গে মায়ের দুধ দেওয়া চালিয়ে যেতে হবে।

মায়েরর দুধ খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে আপনার থেকে সন্তানের দেহে কোভিড-১৯ সংক্রমণ ঘটতে পারে?
এখন পর্যন্ত মায়ের দুধ এবং তা খাওয়ানোর মধ্য দিয়ে কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। তবে গবেষকরা এখনও বুকের দুধ নিয়ে কাজ করছেন।

আপনার নবজাতকের সঙ্গে শারীরিক সংস্পর্শ বজায় রাখুন। আপনার নবজাতককে কাছে রাখুন যাতে দ্রুতই মায়ের দুধ খাওয়ানো শুরু করা যায়, যা নবজাতকের মৃত্যু হারও কমিয়ে দেয়। সন্তান জন্মের প্রথম ঘণ্টার মধ্যেই ভূমিষ্ঠ শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে।

০২- কোভিড-১৯ আক্রান্ত বা এর উপসর্গ দেখা দিলে কি আমার শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো উচিত.?

👉 হ্যাঁ। যথাযথ পূর্ব সতর্কতা অবলম্বন করে মায়ের দুধ খাওয়ানো চালিয়ে যেতে হবে। সতর্কতা হিসেবে সম্ভব হলে মাস্ক পরতে হবে, শিশুকে ধরার আগে ও পরে সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নিতে হবে বা অ্যালকোহল মিশ্রিত হ্যান্ড রাব দিয়ে হাত পরিষ্কার করে নিতে হবে। আপনার ব্যবহৃত এবং হাত দিয়ে ধরা সব কিছু নিয়মিত পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত রাখতে হবে। আপনার বুক ধুয়ে নিতে হবে শুধু তখনই যদি আপনার বুকে কফ বা হাঁচি-কাশির মাধ্যমে নির্গত অতি ক্ষুদ্র জলকনা (ড্রপলেটস) পড়ে। অন্যথায়, প্রতিবার শিশুকে মায়ের দুধ দেওয়ার আগে আপনার বুক ধুয়ে নেওয়ার দরকার নেই।

০৩- মায়ের দুধ খাওয়ানোর মতো সুস্থতা বোধ না করলে আমার কী করা উচিত..?

👉 যদি আপনি শিশুকে স্তনদানের মতো সুস্থতা বোধ না করেন তাহলে তাকে নিরাপদে মায়ের দুধ সরবরাহের জন্য বিকল্প উপায় খুঁজে বের করার চেষ্টা করুন। টেনে মায়ের দুধ বের করে তা একটি পরিষ্কার কাপ বা চামচের মাধ্যমে আপনার সন্তানকে খাওয়ান। আপনার এলাকায় শিশুকে মায়ের দুধ দান মতো কেউ থাকলে তার সহায়তা নেওয়ার কথাও ভাবতে পারেন। আপনার সামনে কী কী সুযোগ আছে সেগুলো নিয়ে ব্রেস্টফিডিং পরামর্শক বা স্বাস্থ্যকর্মীর সঙ্গে কথা বলুন।

মায়ের দুধ উৎপাদন ঠিক রাখার জন্যও টেনে দুধ বের করাটা (এক্সপ্রেসিং ব্রেস্টমিল্ক) গুরুত্বপূর্ণ যাতে আপনি সুস্থ হওয়ার পরেও আপনার সন্তানকে দুধ খাওয়াতে পারবেন। কোভিড-১৯ সংক্রমণ নিশ্চিত হলে বা সন্দেহ দেখা দেওয়ার পর শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোয় বিরতির সুনির্দিষ্ট কোনো সময়সীমা নেই।

নিজের বুকের দুধ টেনে দেওয়া বা অন্য কোনো মায়ের দুধ পাওয়া না গেলে কেবল তখনই ওয়েট নার্সিং (শিশুকে স্তনদান ও লালন-পালনের জন্য কাউকে নিয়োগ করা) অথবা নবজাতকদের জন্য তৈরি ফর্মুলা মিল্ক দেওয়ার কথা ভাবা যেতে পারে। তবে ফর্মুলা মিল্ক সঠিকভাবে প্রস্তুত ও নিরাপদ হতে হবে।

০৪-সন্তান অসুস্থ হলে কি মায়ের দুধ দেওয়া উচিত.?

👉 শিশু অসুস্থ হলেও তাকে মায়ের দুধ দেওয়া চালিয়ে যেতে হবে। আপনার ছোট্ট সোনামনি কোভিড-১৯ বা অন্য কোনো রোগে আক্রান্ত হলেও তাকে মায়ের দুধ খাওয়ানোটা গুরুত্বপূর্ণ। বুকের দুধ আপনার শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করবে এবং আপনার দেহের অ্যান্টিবডি মায়ের দুধের মধ্য দিয়ে তার দেহে যাবে, যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়তে তাকে সহায়তা করবে।

০৫- মায়ের দুধ খাওয়ানোর সময় আমার কী কী পূর্ব সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত..?

👉 নির্দেশনা অনুযায়ী যথাযথভাবে হাত ধুয়ে নিতে হবে। সন্তানকে ধরার আগে ও পরে সাবান ও পানি দিয়ে আপনার হাত দুটো ধুতে হবে। হাত পরিষ্কার-জীবাণুমুক্ত করতে আপনি অ্যালকোহল মিশ্রিত হ্যান্ড রাবও ব্যবহার করতে পারেন। আপনি যেসব জায়গা বা জিনিসপত্র স্পর্শ করবেন, সেগুলোও পরিষ্কার ও জীবাণুমুক্ত করা গুরুত্বপূর্ণ।

ব্রেস্টমিল্ক পাম্প, দুধ রাখার পাত্র এবং শিশুকে দুধ খাওয়ানোর সরঞ্জামগুলো প্রতিবার ব্যবহারের পর পরিষ্কার করতে হবে।

সবসময় মনে রাখবেন,
মায়ের দুধের মাধ্যমে এ ভাইরাস ছড়ায় না ❌

চিকিৎসা প্রযুক্তিবিদ,
মোঃ আরমান হোসেন ডলার,
স্টাফ রিপোর্টারঃ দৈনিক মুক্ত বার্তা।
সাবেক সাধারন সম্পাদক, বাংলাদেশ জাতীয় মানবাধিকার সমিতি, বগুড়া জেলা শাখা।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

প্রকাশনা

সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি : মোঃ এনামুল হক

উপদেষ্টা সম্পাদক: মোঃ মোজাহার হোসেন

প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ নাহিদুল ইসলাম

বার্তা সম্পাদক: সি. আই মামুন

নির্বাহী সম্পাদক:

ব্যবস্থাপনা সম্পাদক:

© All rights reserved © 2024 কুড়িগ্রাম প্রতিদিন
Theme Customized By BreakingNews