মোঃ আরিফুল ইসলাম, স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুড়িগ্রামে সবুজের চাদরে ভরে উঠেছে বোরো ফসলের মাঠ। এমন সবুজের সমারোহে চাষিদের মুখে হাসি ফুটলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়ে আশংকায় রয়েছেন তারা। নিয়মিত পরিচর্চা ও কীটনাশক প্রয়োগে বোরো চারা বেড়ে উঠছে। চাষিরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছেন ভাল ফলনের জন্য। জেলার বিভিন্ন স্থানে মাঠজুড়ে এখন সবুজের সমারোহ। যতদূর চোখ যায় সবুজ আর সবুজ।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের তথ্য অনুযায়ী জেলায় ১ লাখ ১২ হাজার ৭১৫ হেক্টর জমিতে বোরো ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। তবে এখন পর্যন্ত ১ লাখ ১৪ হাজার ৫৫৭ হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। আরও আবাদ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এখন পর্যন্ত বোরো ক্ষেতের তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি। আবহাওয়া যদি অনুকূলে থাকে তাহলে ভালো ফলনের আসা করছেন কৃষকরা। তবে বাজারে নায্যমূল্য না পেলে বড় ক্ষতির মুখে পড়বেন তারা।
জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার পাথরডুবি ইউনিয়নের কৃষক আব্দুস ছালাম বলেন, আমি ৪ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপণ করেছি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে বিঘা প্রতি জমিতে ১৮-২০ মণের ধান হবে বলে আশাবাদী । তাছাড়া এ বছর কীটনাশক, সার এর ক্যন সমস্যা হচ্ছে না। তবে বিদ্যুতের বিদ্যুৎ এর একটু সমস্যা হলেও চলে।
পাইকেরছড়া ইউনিয়ন এর কৃষক ছাইফুর মিয়া বলেন, এবার বন্যার কারণে অনেক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি আমরা। বন্যার পর বোরো আবাদ করেছি। ফলন ভালো হওয়ায়, বন্যার ক্ষতি কিছুটা পুষিয়ে নিতে পারবো।
কুড়িগ্রাম কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কৃষি কর্মকর্তা মো. আমিনুল ইসলাম বলেন, বোরো আবাদ লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি হয়েছে। আরও আবাদ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলনও ভালো দেখা যাচ্ছে এবং মাঠপর্যায়েও কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।
, কুড়িগ্রাম জেলার বেশিরভাগ এলাকাই চর বেষ্টিত। তাছাড়া জেলাটি একটি দুর্যোগপ্রবণ জেলা।
Leave a Reply