চৌধুরী নুপুর নাহার তাজ, দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের খানসামায় পরপর তিনদিন সড়ক দুর্ঘটনায় তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। জনমনে আতংকের সৃষ্টি।
২৬ফেব্রুয়ারী শুক্রবার সন্ধায় খানসামা উপজেলার পূর্ব হাসিমপুর চৌধুরী পাড়া মোড়ে মাইক্রো থেকে নামার সময় মোটরসাইকেলের ধাক্কায় আব্দুল হামিদ (৫৫) নামে পূর্ব হাসিমপুর চৌধুরী পাড়ার এক বাসিন্দার মৃত্যু হয়।
ঠিক তার পরদিন ২৭ ফেব্রুয়ারী শনিবার ট্রাক্টর চাপায় বাঁধন ইসলাম(২৪) নামে মোটরসাইকেল চালকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে নিলয় (২২) নামে আরেক মোটরসাইকেল আরোহী।
তৃতীয় দিন ২৮ফেব্রুয়ারী রবিবার আবারও খানসামা উপজেলার গোয়ালডিহি তাঁতীপাড়ায় টেম্পুর সাথে দ্রুতগামী মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে ২০ বছর বয়সী চালক নাসিম নিহত ও অপরজন গুরুতর আহত হয়। উপজেলার আংগারপাড়া ইউনিয়নের গুন্দুশাহপাড়া জসিম উদ্দিনের তৃতীয় ছেলে এবং আহত নাজমুল একই এলাকার বাসিন্দা।
পরপর তিনদিনের এরকম দূর্ঘটনায় জনমনে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকার একজন বলেন, ট্রলি, সিএনজি, পাগলু এধরনে গাড়িগুলো অপ্রাপ্ত বয়স্ক ও অদক্ষ ড্রাইভাররা বেপরোয়া ভাবে চালনার কারনে এধরনে একের পর এক সড়ক দুর্ঘটনা কেড়ে নিচ্ছে তরতাজা মানুষের প্রাণ। আইনশৃংখলা বাহিনী সদস্যরা এধরনের অপরাধকে প্রতিরোধ করার নিচ্ছে না তেমন কোন উদ্যোগ।
বেপরোয়া ভাবে ট্রলি চালানোর ব্যাপারে খানসামা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ কামাল হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, রাস্তায় উন্নয়ন মূলক কাজ হচ্ছে, সবাই সতর্কতার সাথে রাস্তায় চলাচল এবং গাড়ী চালালে এধরনের সড়ক দুর্ঘটনা কম হবে। আমরা সবসময় এব্যাপারে ট্রলি মালিকদের বলছি যে অপ্রাপ্ত বয়সের বাচ্চাদের দিয়ে যেন ট্রলি চালানো না হয় কিন্তু চোর না শুনে ধর্মের কাহিনী তাই আমাদের এখন আইনি পদক্ষেপ অবশ্যই নিতে হবে।
তবে সাধারন জনগনের সাথে কথা বললে তারা জানান, রাস্তায় যে সমস্ত ট্রলি চলাচল করছে তার বেশিরভাগই বেপরোয়া ভাবে চলাচল করছে। তাদের নিয়ন্ত্রণ করার জন্য নেই কোন আইনি উদ্যোগ।
Leave a Reply