শরিফা বেগম শিউলী, রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
এইচ এস সি পড়ুয়া এক ছাত্রীকে পছন্দ হওয়ায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে ৬ লক্ষ ১ হাজার ১’শত ১ টাকা দেন মোহরে বিয়ে করে ঘরে তুলে কম্পিউটার প্রিন্ট ব্যবসায়ী প্রেমিক স্বামী।
প্রায় দু-মাস ঘর সংসার করার পর যৌতুকের জন্য বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালাতে থাকে স্বামী সহ শশুর শাশুড়ি। নির্যাতনেও যৌতুক না পেয়ে ওই নববধুকে খাবারের সাথে বিষ পানে হত্যার চেষ্টা করে। হত্যার চেষ্টায় ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলে, প্রতারনার মাধ্যমে কৌশলে তালাক নামার কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে নববধুকে অন্যত্র রেখে আসে স্বামী।
প্রতারনা ও নির্যাতনের শিকার স্বামী শশুর-শাশুড়ির বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দেয়। ঘটনাটি ঘটেছে রংপুরের গঙ্গাচড়া ইউনিয়নের কুটিপাড়ায়। রোববার রাতে সংবাদ সম্মেলনে এমন ঘটনা জানান নির্যাতন ও প্রতারনার শিকার নববধু রেজোয়ানা। গঙ্গাচড়া ইউনিয়নের মুন্সিপাড়ার রেজাউল করিমের মেয়ে ও এইচ এস সি ২য় বর্ষের ছাত্রী রেজোয়ানা। একই ইউনিয়নের কুটিপাড়ার আফজাল হোসেনের ছেলে গঙ্গাচড়া বাজারে কম্পিউটার প্রিন্ট ব্যবসায়ী মেহেদী হাসানের সাথে তার প্রেমের সর্ম্পক গড়ে উঠে।
প্রেমের সর্ম্পকে তার সাথে একাধীক বার শারীরিক সর্ম্পকে মিলিত হয়। পরে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়ে ঘরে তোলার জন্য ৬ লক্ষ ১ হাজার ১’শত ১ টাকা দেন মোহর নির্ধারণ করে নোটারী পাবলিক কার্যালয়ে এফিডেভিট এর মাধ্যমে উভয় পরিবারের সম্মতিতে রেজিষ্ট্রী ও ইসলামী শরিয়তে বিবাহ সম্পূর্ণ করে রেজওয়ানাকে । ঘরে তোলার ২ মাস যেতে না যেতেই যৌতুকের জন্য স্বামী , শশুর, শাশুড়ি, দেবর ও ভাসুর বিভিন্নভাবে নির্যাতন চালাতে থাকে। নির্যাতনেও যৌতুক না পেয়ে কৌশলে ১৮ মার্চ খাবারের সাথে বিষ মিশিয়ে তাকে হত্যার চেষ্টা করে। আমি অসুস্থ্য হলে চিকিৎসায় বেঁচে যাই। হত্যার চেষ্টা ব্যর্থ হলে আবার কৌশল অবলম্বন করে বেড়ানোর কথা বলে প্রেমিক বর ২৩ মার্চ রংপুর আদালত প্রাঙ্গণে নিয়ে যায়। সেখানে আগে থেকে থাকা তার লোকজনসহ আমাকে কোন কিছু বুঝতে না দিয়ে সাদা কাগজ দিয়ে ঢেকে রাখা কাগজে আমার স্বাক্ষর নেয়। এরপর ২৫ মার্চ আবার বেড়ানোর কথা বলে লম্পট বর আমাকে আনুর বাজারে আমার ফুপুর বাড়িতে নিয়ে যায়। ফুপুর বাড়িতে আমাকে রেখে তার বাড়িতে চিরদিনের জন্য যেন না যাই হুমকি দিয়ে চলে যায়। পরে আমি বিভিন্ন মাধ্যমে জানতে পারি আমাকে দিয়েই তালাক স্বাক্ষর নেওয়া হয়েছে। নিরুপায় হয়ে প্রতারক, লম্পট প্রেমিক বর, শশুর, শাশুড়ি, দেবর ও ভাসুরের বিরুদ্ধে থানায় এজাহার দেই।বর্তমানে আমি আমার ফুপুর বাড়িতে অবস্থান করছি। সংবাদ সম্মেলনে রেজোয়ানা লম্পট প্রতারক বরসহ তার পরিবারের সবাইকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি করেন।
Leave a Reply