1. nahidbd6969@gmail.com : kurigrampratidin :
  2. 123@kurigrampratidin.com : itsme :
পাকেরহাটে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের কাছে খাজনা আদায়ে অনিয়মের অভিযোগ - কুড়িগ্রাম প্রতিদিন
সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:০৫ পূর্বাহ্ন

পাকেরহাটে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের কাছে খাজনা আদায়ে অনিয়মের অভিযোগ

  • Update Time : সোমবার, ৩১ মে, ২০২১
  • ৬১ Time View

চৌধুরী নুপুর নাহার তাজ, দিনাজপুর জেলা প্রতিনিধিঃ

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার প্রধান বাণিজ্যিক কেন্দ্র পাকেরহাটে ক্রেতা বিক্রেতার উভয়ের কাছে খাজনা আদায়ে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগের সূত্র ধরে সরেজমিনে গত শনিবার পাকেরহাট ঘুরে দেখা যায়, কোটি টাকার উপরে হাটের ইজারা মূল্য হলেও বাড়েনি নাগরিকদের সেবার মান। বরং ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের কাছে বাড়তি ভাবে আদায় করা হচ্ছে খাজনা। হাটের দৃশ্যমান কোন স্থানে প্রদর্শন করা হয়নি খাজনা মূল্যের চার্ট। এ নিয়ে খাজনা আদায়কারীদের সাথে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে প্রতিনিয়ত দেখা যায় দ্বন্দ্ব ও তর্ক-বিতর্ক। এ হাট সপ্তাহে ২দিন শনি ও মঙ্গলবার বসে। গরু ক্রয়-বিক্রয়ে ক্রেতার কাছে ৪০০ টাকা নেওয়ার নিয়ম থাকলেও বিক্রেতার কাছে অতিরিক্ত ৫০ টাকা আদায় করা হচ্ছে। প্রতিটি ছাগলের খাজনায় ১০০ টাকার স্থানে অতিরিক্ত ৫০ টাকা নিচ্ছে । প্রতিটি সাইকেলে বিক্রেতার কাছে ১২৫ টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও বিক্রেতার কাছে ১২০ টাকা নিয়ে আবার ক্রেতার কাছেও অতিরিক্ত ৬০ টাকা খাজনা আদায় করা হচ্ছে। এছাড়াও প্রতি মণ রসুন ১৯ টাকা খাজনা আদায়ের কথা থাকলেও প্রতিমণ রসুনে খাজনা নিচ্ছে ৪০ টাকা। এতে ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

খাট কিনতে আসা আঙ্গারপাড়া গ্রামের যুগিপাড়া এলাকার আব্দুল বারি বলেন, আমি একটি খাট কিনেছি। যার খাজনা মূল্য ২৫ টাকা নেওয়ার কথা থাকলেও আমার কাছে নেওয়া হয়েছে ৭৫ টাকা। এ বিষয়ে খাজনা আদায়কারীদের সাফ কথা যা চাইছি তাই দিতে হবে। একটি টাকাও কম নেওয়া হবে না।

ছাগল কিনতে আসা বালাডাঙ্গী গ্রামের নাম মোজাহার হোসেন বলেন, আমাদের কাছে ক্রেতা ও বিক্রেতার উভয়ের মিলে ১৫০ টাকা খাজনা নিয়েছে।

গরু কিনতে আসা হোসেনপুর গ্রামের ওবাইদুল রহমান বলেন, আমার জানামতে গরু ক্রেতাকে খাজনা দিতে হয়। কিন্তু খাজনা আদায়কারীরা আমার কাছে ৪০০ টাকা নেওয়ার পরেও বিক্রেতার কাছেও ৫০ টাকা নেয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন খাজনা আদায়কারী বলেন, খাজনা আদায়ে অতিরিক্ত যে টাকা নেয়া হয় তা রশিদ লেখক ও হাটে ভলান্টিয়ারদের পারিশ্রমিক হিসেবে প্রদান করা হয়।

পাকেরহাট হাট কমিটির সভাপতি ও আঙ্গারপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোস্তফা আহমেদ শাহ বলেন, বাড়তি খাজনা আদায় বন্ধে বরাবরই চেষ্টা করে যাচ্ছি। এটি বন্ধ হলে ক্রেতা-বিক্রেতাদের হাটে বেচাকেনা করতে আগ্রহ বাড়বে।

পাকেরহাটের ইজারাদার মোঃ আতিকুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, পূর্বের নিয়মানুযায়ী খাজনা আদায় করা হচ্ছে। বাড়তি আদায় বলতে কিছু নেই। বাড়তি যা আসে তা দিয়ে ভলন্টিয়ারদের পারিশ্রমিক প্রদান করা হয়।

তবে এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আহমেদ মাহবুব-উল-ইসলাম বলেন, হাটে ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের কাছে খাজনা আদায়ের কোনো নিয়ম নেই। এ বিষয়ে হাটের ইজারাদারকে সতর্ক করা হয়েছে। পরবর্তীতে যদি খাজনা আদায়ে অতিরিক্ত টাকা নেয়ার অভিযোগ পাওয়া যায় তাহলে ইজারাদারের ইজারা বাতিল করা হবে। সরকার নির্ধারিত খাজনা উল্লেখ করে বাজারে ইজারাদারকে চার্ট টানিয়ে দেয়ার নির্দেশনাসহ খাজনা আদায়ের সময় রশিদ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

প্রকাশনা

সম্পাদক মন্ডলির সভাপতি : মোঃ এনামুল হক

উপদেষ্টা সম্পাদক: মোঃ মোজাহার হোসেন

প্রকাশক ও সম্পাদক: মোঃ নাহিদুল ইসলাম

বার্তা সম্পাদক: সি. আই মামুন

নির্বাহী সম্পাদক:

ব্যবস্থাপনা সম্পাদক:

© All rights reserved © 2024 কুড়িগ্রাম প্রতিদিন
Theme Customized By BreakingNews