ইবি প্রতিনিধিঃ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার ১৭ দিন পর মানববন্ধন করবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় (ইবি) শিক্ষক সমিতির। আগামী ২২ ডিসেম্বর ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদের ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করবে তারা। তবে ঐ দিন বাঘা যতীনের ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদে কোন কর্মসূচি থাকছে না বলে জানিয়েছেন ইবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. কাজী আখতার।
জানা গেছে, গত ৪ ডিসেম্বর কুষ্টিয়া পাঁচ রাস্তার মোড়ে নির্মাণাধীন বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাংচুর করা হয়। উক্ত ঘটনার প্রতিবাদে ৬ ডিসেম্বর মানবন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ ও বিশ্ববিদ্যালের প্রগতিশীল শিক্ষক সংগঠন শাপলা ফোরাম। একই সময়ে বঙ্গবন্ধু পরিষদ, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিবাদ ও মানবন্ধনের আয়োজন করে। তবে শিক্ষক সমিতির সিংহভাগ শিক্ষক বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ও প্রগতিশীল সংগঠনের সাথে যুক্ত থাকলেও তাদের পক্ষ থেকে তাৎক্ষনিক কোন প্রতিবাদ বা বিবৃতি পাওয়া যায়নি। গত ১৫ ডিসেম্বর শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে প্রথম ভাস্কর্য ভাঙার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে বিবৃতি দেওয়া হয়।
বিবৃতির দিন শিক্ষক সমিতির সভাপতি প্রফেসর ড. কাজী আখতার হোসেন সাংবাদিকদের জানান যে, ৬ তারিখে শাপলা ফোরামের মিটিং ছিল। এজন্য শিক্ষক সমিতির কার্যনির্বাহী সদস্যরা এক জায়গায় বসতে পারিনি। তিনি আরও বলেন আমি শিক্ষক সমিতির সভাপতি হলেও আমার একার পক্ষে কোন বিবৃতি দেওয়া সম্ভব না। তবে আগামী ১৯ ডিসেম্বর ভাস্কর্য ভাংচুরের প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচির হাতে নেওয়া হয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে গত ১৯ ডিসেম্বর মানববন্ধন করার কথা থাকলেও ৩ সপ্তাহ পর আগামী ২২ ডিসেম্বর সেটি হবে বলেছে শিক্ষক সমিতির নেতারা।
এতদিন পর মানবন্ধন করার কারণ জানতে চাইলে শিক্ষক সমিতির সভাপতি ড. কাজী আখতার বলেন, “বিলম্ব হওয়ার কারণ এর আগেই আমি জানিয়েছি। আমরা ১৯ ডিসেম্বর যে মানবন্ধন করতে চাই সেটা ভিসি স্যারকে জানিয়েছিলাম। তিনি আমাদেরকে জানিয়েছেন ঐ দিন তার কেন্দ্রীয় ভর্তি পরীক্ষার একটা মিটিং আছে এবং তিনি আমাদেরকে ২২ তারিখে সময় দিতে পারবেন।”
বিট্রিশ বিরোধী আন্দোলনের বিপ্লবী নেতা যতীন্দ্রনাথ মুখোপাধ্যায়ের (বাঘা যতীন) ভাস্কর্য ভাংচুরের বিষয়ে কোন কর্মসূচি থাকছে কিনা জানতে চাইলে তিনি জানান, “এ বিষয়ে শিক্ষক সমিতিতে কোন আলোচনা হয়নি। আর বিষয়টি নিয়ে আমাদের কথা বলাও উচিত নয়। এটা দলীয় কোন্দলের বিষয়।”
Leave a Reply