বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় ভূরুঙ্গামারী”র ড. গোলজার হোসেন
এ এস খোকন, ভূরুঙ্গামারী কুড়িগ্রামঃ কুড়িগ্রাম ভূরুঙ্গামারী উপজেলার কৃতি সন্তান ও বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ গোলজার হোসেন স্থান পেয়েছেন বিশ্বসেরা ২ শতাংশ বিজ্ঞান গবেষকের তালিকায়।
সম্প্রতি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও নেদারল্যান্ডস ভিত্তিক এলসেভিয়ার প্রকাশিত এক জরিপে বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) নয় শিক্ষক ও এক শিক্ষার্থী।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর সোমবার এ তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে বলে জানা যায়। মূলত বিজ্ঞানীদের প্রকাশনা, এইচ-ইনডেক্স, সাইটেশন এবং অন্যান্য সূচকের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে ওই তালিকা। তালিকায় পুরো এক বছরের গবেষণা ও পেশাগত ভিত্তিতে সেরা গবেষক নির্ধারণ করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন তালিকায় স্থান পাওয়া মাইক্রোবায়োলজি এন্ড হাইজিন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোঃ গোলজার হোসেন।
বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় ভূরুঙ্গামারীর কৃতি সন্তান ড. মোঃ গোলজার হোসেন স্থান পাওয়ায় ভূরুঙ্গামারীবাসী উচ্ছ্বসিত ও আনন্দিত। ড. মোঃ গোলজার হোসেন এরকম অসাধারণ কৃতিত্ব অর্জনের জন্য ভূরুঙ্গামারীর উপজেলার বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের সংগঠন “মোটিভেট ভূরুঙ্গামারীর” পক্ষ থেকে তাকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানানো হয়।
ড. মোঃ গোলজার হোসেন এর সাথে যোগাযোগ করে তার অনুভূতি জানতে চাইলে তিনি বলেন, সারা বাংলাদেশ থেকে ২০৫ জন গবেষক বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় স্থান পেয়েছে এর মধ্যে আমার কর্মস্থল (বাকৃবি) থেকে আমি-সহ ১০ জন সেখানে স্থান পেয়ে আমি অত্যন্ত আনন্দিত ও উচ্ছ্বসিত।
বিশ্বসেরা গবেষকের স্বীকৃতি আমাকে আমার গবেষণার প্রতি দায়িত্ববোধ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশে আমাদের এই ২০৫ জনের মতো বা আমাদের চেয়েও অনেক ভালো গবেষক আছেন। কিন্তুু তাঁরা হয়তোবা ২০২৩ এর প্রকাশনা অনুযায়ী বিশ্বসেরা ২ শতাংশ গবেষকের তালিকায় এ বছর স্থান পাননি, আশা করছি তারা আগামীতে বিশ্বসেরা গবেষকের তালিকায় স্থান করে নিবেন। আমি সকলের কাছে দোয়া চাই যাতে করে সামনে আরো ভালো গবেষণা করতে পারি এবং এই ধারা অব্যাহত রাখতে পারি। রাষ্ট্র বা দেশের সরকার যাতে বাংলাদেশে আন্তর্জাতিক মানের গবেষণা ক্ষেত্র তৈরি করেন এবং ভালো গবেষকদেরকে গবেষণা করার সুযোগ প্রদান করেন সেই প্রত্যাশা করি।
Leave a Reply