নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
করোনা পরিস্থিতির কারণে বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে দীর্ঘ দিন থেকে। আটকে গেছে বিদ্যালয়-গুলোর মডেল টেস্টসহ অন্যান্য পরিক্ষা। এ পরিস্থিতিতে বিশেষ পদ্ধতিতে পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করছেন কুড়িগ্রাম জেলার ভূরুঙ্গামারী উপজেলার তিলাই উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। শিক্ষকগন শিক্ষার্থীদের বাড়িতে অভিভাবকের মাধ্যমে প্রশ্নপত্র পৌঁছাবে। অভিভাবকরা নিজ দায়িত্বে ঘড়ি ধরে বাড়িতে বসে ওই প্রশ্নপত্রে পরীক্ষা নেওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষার্থীদের নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আমজাদ হোসেন।
অভিভাবকরা জানান, এটা খুবই ভালো একটা উদ্যোগ। দীর্ঘদিন বিদ্যালয় বন্ধ রয়েছে। এ সময় শিক্ষার্থী পড়াশোনা থেকে দূরে রয়েছে। এভাবে চলতে থাকলে তারা মুখস্থ করা পড়াটাও ভুলে যাবে। ফলে পরীক্ষাটা যেভাবেই নেওয়া হোক, ওরা একটু পড়াশোনার ভেতরে ঢুকবে। অন্যান্য শিক্ষকেরাও যদি এই উদ্যোগ নেন, তাহলে ভালো হয়।
অভিভাবকেরা আরো জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আমজাদ হোসেন ৮ম শ্রেণীর পরিক্ষা ফি বাবদ ৪০০ ও ১০ম শ্রেণীর পরিক্ষা ফি বাবদ ৪৫০ টাকা এবং রেজিষ্টেশন বাবদ ৬০০ টাকা নির্ধারণ করেছেন পরিক্ষার ব্যাপারে মন্ত্রণালয় থেকে কড়া নির্দেষ না থাকার পরও এত বেশি টাকা নির্ধারণ করায় আমরা হতাশ। যেখানে মানুষ করোনার মহামারিতে আর্থিক অসুবিধার মধ্যে পড়ে আছে, সেখানে এতো টাকা ফি দিয়ে সন্তানদের ঘরে বসে পরিক্ষার নামে অতিরিক্ত ফি আদায় করার ব্যপারে চিন্তিত অভিভাবকগন। তাদের মতো অতিরিক্ত ফি না নিয়ে সাভাবিক ফি নির্ধারন করা প্রয়োজন।
Leave a Reply